বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৌকার প্রার্থীর বক্তব্যে তোলপাড়

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:০২

‘কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ভোট ভেতরে গিয়ে দেবেন। আর মেয়র ভোটটি সরাসরি দিয়ে দেবেন।’

কুষ্টিয়ার মিরপুর পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুল হকের একটি বক্তব্য ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর এলাকায় তোলপাড় হচ্ছে।

ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তার সমর্থকদেরকে মেয়র পদে ভোট প্রকাশ্যে এবং কাউন্সিলর পদে গোপন পক্ষে গিয়ে সিল দেয়ার কথা বলেছেন।

এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা নির্বাচনি কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।

এক নির্বাচনী সভায় ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ওপেন ভোট দেন, তা হলে তো কেউ নিষেধ করতে পারবে না।’

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর এনামুলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন।

দ্বিতীয় ধাপের পৌর নির্বাচনে আগামী ১৬ জানুয়ারি ভোট হবে কুষ্টিয়ার চার পৌরসভায়।

প্রথম ধাপে ২৪টি পৌরসভার সবগুলোতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট হলেও দ্বিতীয় ধাপে কিছু পৌরসভায় ভোট হবে ব্যালটেও, যার একটি কুষ্টিয়ার কুমারখালী পৌরসভা।

গত ৯ জানুয়ারি উপজেলার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোশারফপুরে পৌর এলাকায় নির্বাচনি সভায় বক্তব্য রাখছিলেন এনামুল।

এক মিনিট ২২ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে দেখা যায় এনামুল হক বলেন, ‘আগামী ১৬ তারিখের নির্বাচনে আপনি যদি ওপেন ভোট দেন তাহলে তো কেউ নিষেধ করতে পারবে না। আপনাদের মধ্যে যাতে দূরুত্ব না বাড়ে। সন্দেহ সৃষ্টি না হয়, তাই আপনারা সব ওপেন ভোট দেন।

‘কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরের ভোট ভেতরে গিয়ে দেবেন। আর মেয়র ভোটটি সরাসরি দিয়ে দেবেন।’

প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মারতে কোনো সমস্যা নাই জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কারো কোনো ভয় নাই, ভয়ের কোনো দরকারও নেই।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেয়র প্রার্থী এনামুল হক বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। মানুষ তাকেই ভোট দেবে।

এই বক্তব্যের ব্যাখ্যার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভোটারদের বলেছি প্রকাশ্যে দিলে দেবেন, আমার কোন আপত্তি নেই। বাধ্য করে ভোট নেব না। তারা অগ্রিম ভোটটা দিতে পারলে খুশি হতো।’

ভিডিও দেখার পর এ বিষয়ে কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক। তিনি বলেন, ‘মেয়র থাকাকালে অতীত কর্মকাণ্ডের জন্য আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীর জনপ্রিয়তা শূন্যের কোটায়। তাই জোর করে ভোট নেয়ার জন্য তিনি নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছেন।

‘আইন লঙ্ঘন করায় তার বিরুদ্ধে মামলা এবং অনৈতিক প্রচেষ্টার জন্য ব্যবস্থা নেয়া উচিত।’

বিএনপির মেয়র প্রার্থী রহমত আলী রব্বান বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী ওপেন ভোট মারার কথা বলছেন। এটা বন্ধ না হলে মানুষ ভোট দিতে আসবে না।’

এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস জানান, অভিযোগ পেয়ে তারা এনামুল হককে সতর্ক করেছেন।

এ বিভাগের আরো খবর