নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার তারাব পৌরসভার নির্বাচনি প্রচারণায় কাউন্সিলর সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
দুই পক্ষের পৃথক দুটি মামলায় মঙ্গলবার রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে তাদের আদালতে তোলা হলে আদালত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে জামিন দেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমীনের পক্ষে নাজমুল হাসানের করা মামলায় গ্রেপ্তাররা হলেন, অপর কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন, তার সমর্থক রাজিব, সোহেল, সাইদুর ও হাবিব। অপর দিকে আনোয়ারের পক্ষে শাজালালের করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শুধু মাত্র রুহুল আমীনকে। বাকি চার জনের ব্যাপারে এখনও সিন্ধান্ত হয়নি। তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, নোয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমীন ও প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কর্মীরা যানবাহন ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
এ ঘটনায় মামলা করা হয় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর পক্ষ থেকেই। রুহুল আমীনের পক্ষে নাজমুল হাসান বাদি হয়ে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপর দিকে আনোয়ার হোসেনের পক্ষে শাহজালাল বাদি হয়ে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে দুই প্রার্থীসহ উভয় পক্ষের ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নারায়ণগঞ্জের আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান নিউজ বাংলাকে জানান, গ্রেপ্তার তারাব পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী রুহুল আমীন ও প্রতিদ্বন্দ্বী অপর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনকে বুধবার সকালে আদালতে পাঠায় পুলিশ। দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আহমেদ হুমায়ূন কবিরের আদালতে হাজির করা হয় তাদের। আদালত শুনানী শেষে দুই কাউন্সিলরকে জামিন দেয়া হয়। হলফনামা দেয়ার পর বাকি চার জনের জামিনের আদেশ দেয়ার বিষয়ে সিন্ধান্ত না হওয়ার কথা জানান।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে তারাব পৌরসভা পৌরসভা নির্বাচনী প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন ও রুহুল আমিনের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ১২ জন গুরুতর আহত হয়। তারা নিরবাচনি ক্যাম্প ভাংচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেন।