বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নবীগঞ্জে ভোট: শান্তির মধ্যে হঠাৎ উত্তাপ

  •    
  • ১৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৭:২১

১৬ জানুয়ারির ভোটের প্রচারে এত দিন তেমন কোনো অভিযোগ ছিল না। তবে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আওয়ামী লীগের সভায় বোমা হামলার পর পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। দুই প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ ও বিএনপি পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছে।

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌর নির্বাচন উৎসব থেকে উৎকণ্ঠায় রূপ নিয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের প্রচার সভায় পেট্রল বোমা হামলার ঘটনার পর থেকে প্রার্থী ও ভোটাররা নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে তুলছেন প্রশ্ন।

এখানে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি- দুই দলই একক প্রার্থী দিতে সক্ষম হয়েছে। দলে নেই বিদ্রোহ, কোন্দল। কর্মী-সমর্থকরাও আগামী ১৬ জানুয়ারির ভোটকে সামনে রেখে কাজ করছেন।

তবে বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরীর অভিযোগ, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা

ছাবির গত নির্বাচনে জিতেছিলেন। তিনি বলেন, ‘পেট্রল বোমা হামলায় আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রচারে গিয়ে ভোটারদের সাড়া না পাওয়ায় নিশ্চিত পরাজয় জেনে বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছেন।

‘এ ঘটনায় আমার নেতাকর্মী ও সমর্থকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। পুলিশ দুই জনকে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে।’

গ্রেপ্তার আতঙ্কে নেতাকর্মীরা প্রচারে বের হচ্ছে না বলে জানালেন ছাবির।

নির্বাচনি সভা ও প্রচারে ছাবিরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী। তার দাবি, ছাবির অনেক অনিয়ম করেছেন। উন্নয়নে কোনো ভূমিকা রাখেননি।

আওয়ামী লীগ প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী। ছবি: নিউজবাংলা

মেয়র নির্বাচিত হলে পৌর এলাকার সমস্যা সমাধানে সব ধরনের পদক্ষেপ নেবেন বলে জানান রসুল।

বিএনপি-আওয়ামী লীগ প্রার্থীর উত্তেজনার সুযোগে মাঠে সরব হয়ে উঠেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী নবীগঞ্জ মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম সুমন। পরিবহন নেতা হওয়ায় এলাকার শ্রমিকদের ভোট ব্যাংক নিয়ে তিনিও হেভিওয়েট।

নিউজবাংলাকে সুমন বলেন, ‘লোকাল নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী তেমন প্রভাব ফেলতে পারে না। এখানে জনগণ প্রার্থী দেখেই ভোট দেয়। আমি যেহেতু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছি, আমাকেই ভোট দেবে জনগণ। আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’

নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই সরকারের নেতৃত্বে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’

স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুল আলম সুমন। ছবি: নিউজবাংলা

গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ এক পথসভা করে। সেখানে দুর্বৃত্তের ছোড়া পেট্রল বোমায় তিন জন আহত হন।

ওইদিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী ছাবির ও তার সমর্থকদের দায়ী করে পৌর আওয়ামী লীগ।

ঘণ্টাখানেক পরই সংবাদ সম্মেলন করে ছাবির বলেন, আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচনের পরিবেশকে নষ্ট করতে তাদের অপবাদ দিচ্ছেন।

পরদিন হবিগঞ্জ-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শেখ সুজাত মিয়াকে প্রধান আসামি করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি শাহ্ ফয়সল তালুকদার। গ্রেপ্তার করা হয় দুই বিএনপি কর্মীকে।

এর পর থেকেই নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থী ও সমর্থকদের মধ্যে বিরাজ করছে চাপা উত্তেজনা।

এ বিভাগের আরো খবর