কুষ্টিয়া পৌরসভায় ২৬ বছর ধরে মেয়রের দায়িত্ব পালন করে আসছেন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ আনোয়ার আলী। এবারও দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।
ভোটের মাঠে অভিজ্ঞ এই নেতার প্রতিপক্ষ জেলা বিএনপির সহসভাপতি বশিরুল আলম চাঁদ; যিনি এবারই প্রথম এত বড় প্লাটফর্মে নির্বাচন করছেন।
রাজনীতিতে অবশ্য নবিশ নন বশিরুল আলম। কুষ্টিয়া শহর সংলগ্ন মজমপুর ইউনিয়নে চারবার চেয়ারম্যান ছিলেন। ওই ইউনিয়ন বিলুপ্ত হয়ে এখন কুষ্টিয়া পৌরসভার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।
আনোয়ার আলী দীর্ঘদিন কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের হাল ধরে আছেন। ১৯৮৭ সাল থেকে ১০ বছর ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
জয়ে অভ্যস্ত এই নেতা বলেন, কুষ্টিয়া পৌরসভাকে পরিচ্ছন্ন ও নান্দনিক রূপ দেয়া হয়েছে। আরও কিছু কাজ বাকি আছে, এবার নির্বাচিত হলে সেগুলো শেষ করবেন বলে ভোটারদের আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি।
প্রতিদিনই বিভিন্ন ওয়ার্ডে সভা করছেন ৭৮ বছর বয়সী এই প্রবীণ নেতা। যাচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। জেলা আওয়ামী লীগে বিরোধ না থাকায় নেতারাও তার পক্ষে কাজ করছেন।
অভিজ্ঞতা কম হলেও প্রচারে পিছিয়ে নেই বিএনপির বশিরুল আলম। দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ছুটছেন নেতা-কর্মীরাও।
বশিরুল আলম বলেন, ‘আনোয়ার ভাই রাজনীতিতে অনেক অভিজ্ঞ। তবে আমিও ৪০ বছর ধরে রাজনীতি করছি।’
পৌরসভা বর্ধিত হওয়ায় বিএনপির ভোট বেড়েছে বলে মনে করেন বশিরুল। এখন পর্যন্ত নির্বাচনি পরিবেশ সুষ্ঠু আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভোটাররা ঠিকমতো ভোট দিতে পারলে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে।
এই পৌরসভায় মেয়র পদের আরেক প্রার্থী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতা আব্দুল্লাহ আখন্দ। তিনি লড়ছেন হাতপাখা প্রতীকে। তার নির্বাচনি পোস্টার রয়েছে শহরজুড়ে। সমর্থকরাও সক্রিয় তার প্রচারে। তবে তাদেরকে বেশিরভাগ সময় মসজিদের আশপাশেই প্রচারে দেখা যায়।
১৮৩৯ সালে গঠিত কুষ্টিয়া পৌরসভার ২১ ওয়ার্ডে ভোটারের সংখ্যা এক লাখ ৪৬ হাজার ৪২৩ জন।
জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্যমতে, তিন মেয়র প্রার্থীর পাশাপাশি পৌরসভার কাউন্সিলর পদে ৯৭ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৩৪ জন। এর মধ্যে তিন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এরইমধ্যে জয়ী হয়েছেন।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে ১৬ জানুয়ারি এই পৌরসভার ভোট হবে। শেষ মুহূর্তে তাই প্রচারে ব্যস্ত প্রার্থীরা।