চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৮নং পাঠানটুলি ওয়ার্ডের মোগলটুলি এলাকায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের অনুসারীদের গুলিতে ষাট বছরের বাবুল সর্দার নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর বলছেন, মঙ্গলবার রাত নয়টার দিকে মোগলটুলির মগপুকুর এলাকায় এ হামলায় তার আরও এক সমর্থক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘মগপুকুর এলাকায় গণসংযোগ করার সময় বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল কাদেরের অনুসারীরা শাটার গান নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এতে মহল্লার সর্দার বাবুল সর্দার গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। আমাকে বাঁচাতে গিয়ে এ সময় যুবলীগ কর্মী মাহবুবও গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্রোহী প্রার্থী সদ্যসাবেক কাউন্সিলর আবদুল কাদের বলেন, ‘আমার কর্মী সমর্থক নিয়ে আবু শাহ মাজার এলাকায় গণসংযোগ করছিলাম। আমি একটি বাসায় অবস্থান করার সময় নিচে থাকা আমরা অনুসারীদের আচমকা ধাওয়া করে নজরুল ইসলাম বাহাদুরের অনুসারীরা। এরপর তারা গুলি করলে আমি বাসার ভেতরেই অবস্থান করি। যে মারা গেছে সে তাদের কর্মী। কিন্তু কীভাবে মারা গেছে আমরা জানি না। আর পাল্টা হামলা করার জন্য কিছু ছিল না বলেই তো আমরা এখনও একটি বাসায় অবরুদ্ধ হয়ে আছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি সকালে নির্বাচন কমিশনে তাদের বিরুদ্ধে আমার পোস্টার ছেড়ার অভিযোগ দিয়েছি, যার কারণে তারা পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালিয়েছে।’
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) পুলিশ ফাঁড়ির নায়েক আমির হোসেন বলেন, মাহবুব নামের এক জন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আসলেও তাকে আবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে। চমেকে ভর্তি না করে বেসরকারি মেডিকেল সেন্টার নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে শুনেছি।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপকমিশনার (পশ্চিম) ফারুক-উল-হক বলেন, ‘দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে এক জন মারা যাওয়ার খবর পেয়েছি। এলাকায় আমি নিজে উপস্থিত আছি ও আমাদের অতিরিক্ত ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে।’