বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দাগনভূঞায় বিএনপির কাউন্সিলর প্রার্থী নেই

  •    
  • ১২ জানুয়ারি, ২০২১ ২৩:০২

আওয়ামী লীগ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীকে ফেনী পৌরসভায় ডেকে জেলা থেকে প্রত্যেক ওয়ার্ডে মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বিপরীতে বিএনপির মধ্যে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

দাগনভূঞা পৌর নির্বাচনে কোনো ওয়ার্ডেই কাউন্সিলর পদে প্রার্থী নেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির। এ নিয়ে দলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আগামী ১৬ জানুয়ারি সেখানে ভোটাভুটি।

আওয়ামী লীগ সকল সম্ভাব্য প্রার্থীকে ফেনী পৌরসভায় ডেকে জেলা থেকে প্রত্যেক ওয়ার্ডে মনোনীত কাউন্সিলর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বিপরীতে বিএনপির মধ্যে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি না। এতে বিএনপির ভোট ব্যাংক হিসেবে খ্যাত দাগনভূঞা পৌর এলাকার ভোটাররা আশাহত হয়েছেন।

দাগনভূঞা ঘুরে দেখা যায়, অনেকে ফেনীকে বিএনপির ঘাঁটি বলে মনে করেন। কিন্তু ফেনীর প্রথম শ্রেণির পৌরসভা দাগনভূঞায় নির্বাচনে প্রার্থী দিতে দলটির ‘দৈন্যদশা’ অনেকের মনে সংশয় সৃষ্টি করেছে। কোনো ওয়ার্ডে প্রার্থী ঘোষণা করতে না পারায় বিএনপির অনেক নেতাকর্মী ও সমর্থক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

উপজেলা বিএনপি সভাপতি আকবর হোসেন জানান, ‘বাস্তবতা হলো, সরকার দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের হুমকি ধামকিতে স্বপ্রণোদিত হয়ে প্রার্থী হতে পারেনি কেউ।’

অন্যদিকে দাগনভূঞা পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের বাবু জানান, দাগনভুঞায় কোনো ওয়ার্ডে প্রার্থী দিতে না পারার জন্য দল দায়ী নয়, দলের নেতারা দায়ী।

দাগনভূঞা পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড সভাপতি ছেরাজুল হক (হকসাব) বলেন, ‘আমাদের কাউকে প্রার্থী হতে দল থেকে উৎসাহিত করা হয়নি। দলের তরফ থেকে সিগনাল না পেয়ে আমরা কেউ প্রার্থী হইনি। এমনিতে প্রতিকূল পরিস্থিতি, তার উপরে দল পাশে না থাকলে আমরা কার উপর ভরসা করে নির্বাচনে যাব?’

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপন জানান, ‘অনেকে নানা অজুহাত দিয়ে প্রার্থী হতে চাননি। যারা এ দুঃসময়ে প্রার্থী হননি, সুসময়ে তাদেরকে আর দলের প্রয়োজন নাই।’

দাগনভূঞা পৌর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাবুল বলেন, ‘আমি মেয়র হতে ফরম কিনেছি, তাই কাউন্সিলর পদে দাঁড়াইনি। আমার ভাইকে প্রার্থী হতে বলেছিলাম, সেও হয়নি।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দাগনভূঞা পৌর বিএনপির সহসভাপতি জসিম উদ্দিন হায়দার লিটন জানান, ‘পৌর নির্বাচন এসেছে, কিন্তু আমাদের কারো সাথে কোনো আলাপ-আলোচনা করা হয়নি। তাতে দলীয় মিটিং না করার খেসারত দিচ্ছে দল।’

ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল জানান, ফেনীতে বৈঠক করে সকলের সাথে কথা বলে মেয়র প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগ আতঙ্কে অনেকে কাউন্সিলর প্রার্থী হননি।

ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার বলেন, ‘নির্বাচনের নামে তামাশা হচ্ছে। তাই বিএনপি-শিবিরে উত্তেজনা-আগ্রহ নেই। কারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কেন্দ্র দখল করে ভোট নিয়ে যায়। সেজন্য বিএনপি প্রার্থীদের আগ্রহ কম। তারা নির্বাচনের নামে প্রহসনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চায় না। শুধু আওয়ামী লীগে উত্তেজনা-আগ্রহ আছে।’

ফের ভোটের লড়াইয়ে ফারুক-স্বপন

দাগনভূঞায় মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র ওমর ফারুক খান। অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন পৌর সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইফুর রহমান স্বপন। গতবারের নির্বাচনেও তারা দুজনেই নৌকা বনাম ধানের শীষ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী কাজী সাইফুর রহমান স্বপন নয় দফা দাবিতে রোববার সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার, যুগ্ম-আহবায়ক আলাউদ্দিন গঠন, সদস্য সাইফুর রহমান রতন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আবুল হাশেম বাহাদুরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে কাজী স্বপন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ তুলে ৯ দফা দাবি উপস্থাপন করেন।

ইভিএম বাতিল, নির্বাচনের তিন দিন আগে থেকে সেনা মোতায়েন, পৌরসভার প্রবেশদ্বারে চেক পোস্ট বসানো, তিন দিন আগে সকল বৈধ অস্ত্র জমা, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, বিধি লংঘনের ব্যাপারে অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে আমলে নেয়া, কমপক্ষে তিন দিন আগ থেকে ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা, ভোটারদের নির্ভয়ে কেন্দ্রে আসা নিশ্চিত করা ও প্রসাশনকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের দাবি জানান স্বপন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সাত কাউন্সিলর

২৯ ডিসেম্বর ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। এ দিন ৩নং ওয়ার্ডে ছয় জন কাউন্সিলর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় আওয়ামী লীগের নুরুল হুদা সেলিম আবারও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এছাড়া ৫নং ওয়ার্ড থেকে আওয়ামী লীগের একরামুল হক পাটোয়ারী ও ৬নং ওয়ার্ড থেকে মোহাম্মদ হানিফ এবং ৯নং ওয়ার্ড থেকে মোহাম্মদ ফারুক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

বাকি পাঁচটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ভোটাভুটি হবে। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আয়েশা আক্তার নাজু, শাহানাজ আক্তার ও জাহানারা বেগম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রচার যুদ্ধে প্রার্থীরা

আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থীকে ঘিরে কর্মী-সমর্থকদের এখন ব্যাপক উদ্দীপনা।

প্রচারণায় নেমে বিএনপি প্রার্থী স্বপন বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ ভোটারদের কাছে ভোট চাচ্ছেন। নানা রকম প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের। দল ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা থাকছেন তার সঙ্গে।

সাইফুর রহমান স্বপন বলেন, ‘আমরা আশা করি প্রশাসন ভোটারদের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় সকলের ভোট দানের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবেন। একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর