বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের দিন গন্ডগোল হলে দায় প্রথমত আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তার ছোটভাই দলটির মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা।
১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচন সামনে রেখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক কর্মী সমাবেশে তিনি বলেন, ‘বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের দিন গন্ডগোল হলে এর প্রথম দায় নিতে হবে এলাকার সংসদ সদস্য ও মন্ত্রী হিসেবে ওবায়দুল কাদেরকে। এরপর নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন, তারপর ডিসি-এসপি আর নির্বাচন অফিসারকে।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই ও দলের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার টানা তিন বারের মেয়র।
সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করছেন, দলের ভেতরের একটি অংশ তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী পাঠাচ্ছে, পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে।
মঙ্গলবারের কর্মী সমাবেশে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে লড়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে কাদের মির্জা বলেন, ‘আমার শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত নির্বাচন করব। বিএনপি-জামায়াত প্রার্থীরা নির্বাচনের মাঝপথে বর্জন করেন, এটি তাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতি।’
বিএনপির মেয়র প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মোশাররফের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কোথাও অনিয়ম হলে তা যদি সত্য হয়, আমি আপনাদের নিয়ে একযোগে নির্বাচন বর্জন করব।’
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, ভোটকে বিতর্কিত করার নানা অপতৎপরতা চলছে। এলাকায় অস্ত্রশস্ত্র আনা হয়েছে।
কাদের মির্জার আশঙ্কা, কাউকে হত্যার মাধ্যমে নির্বাচনের ‘শান্ত পরিবেশ’ অশান্ত করা হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় ডা. মিলনকে হত্যা করে জাসদ আন্দোলনকে যেভাবে চাঙ্গা করেছিল, তেমনি এখানেও আওয়ামী লীগ-বিএনপি অথবা জামায়াতের কাউকে হত্যা করে শান্ত পরিবেশ অশান্ত করে ভোটকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে ষড়যন্ত্রকারীরা। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’
কাদের মির্জা আরও বলেন, ‘ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেট বা কেউ যেন কোনো অনিয়ম না করেন, টিপাটিপি করে কোনো মার্কায় অনৈতিকভাবে ভোট না দেয়, আমার অনুরোধ তারাও যেন নিরপেক্ষ নির্বাচনে সহযোগিতা করেন।’
এসময় দলীয় শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে নোয়াখালীতে মাহমুদুর রহমান বেলায়েত ও খায়রুল আনম সেলিম এবং ফেনীতে জয়নাল হাজারী ও ইকবাল সোবহান চৌধুরীকে দলের দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব দেন কাদের মির্জা।
সমাবেশে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরীসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।