২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার দ্রুত বিচার ও সাজা কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি জানান।
২১ আগস্ট বাংলাদেশ নামের সংগঠন আয়োজিত আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথসহ আওয়ামী লীগের মহানগর নেতাদের অনেকে।
আওয়ামী লীগ নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, ‘একাত্তরে পরাজিত শক্তির দোসররা বারবার আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। এরাই ২০০৪ সালে গ্রেনেড হামলা চালিয়ে হত্যা করতে চেয়েছিল শেখ হাসিনাকে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিরোধী দলের নেতাকে হত্যাচেষ্টার এমন নজির ইতিহাসে নেই।
‘মামলার অন্যতম আসামি মুফতি হান্নান গ্রেনেড হামলার আগে তারেক জিয়ার সঙ্গে হাওয়া ভবনে দুইবার আলোচনা করে, যা জবানবন্দিতে উল্লেখ আছে। ঘটনার পর সমস্ত আলামত নষ্ট করা হয়েছে। এমনকি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আহতরা চিকিৎসা নিতে গেলে ড্যাপের ডাক্তাররা তা না দিয়ে সরে পড়েন।’
কামরুল ইসলাম বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে তার পরিবারসহ হত্যার ঘটনায় প্রত্যাশিত প্রতিবাদ হয়নি। তখন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতাদের অনেকে খুনি মোশতাকের সরকারে যোগ দিলে আমরা হতভম্ব হয়ে পড়ি।
‘একাত্তরে জিয়া ছিলেন পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের এজেন্ট। ১৫ আগস্টের হত্যায় তার হাত ছিল। এরপর তার ছেলে চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনাকে হত্যার। আমরা দীর্ঘদিন সেই একই শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছি।’