বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিপু হত্যার ৩ দিন আগে রেকি: ডিবি

  •    
  • ২৭ মার্চ, ২০২২ ১৫:০১

ডিবির কর্মকর্তা হাফিজ আক্তার বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে আকাশ ও তার এক সহযোগী হত্যার জন্য টিপুর নাম পায়। আর তখন থেকে তিনি তার সহযোগীকে নিয়ে রেকি শুরু করেন।’

আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু হত্যার তিন দিন আগেই শ্যুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ তার সহযোগীকে নিয়ে রেকি শুরু করেন বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে রোববার দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।

টিপু ও কলেজছাত্রী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি হত্যার ঘটনায় আকাশকে গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

এতে ডিবির কর্মকর্তা হাফিজ বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে আকাশ ও তার এক সহযোগী হত্যার জন্য টিপুর নাম পায়। আর তখন থেকে তিনি তার সহযোগীকে নিয়ে রেকি শুরু করেন। হত্যাকাণ্ডের আগের দিনও তারা ওই মোটরসাইকেল নিয়ে এজিবি কলোনির ভেতরে অবস্থান করছিলেন টিপুকে হত্যার জন্য। সেদিন সুযোগ না পাওয়ায় পরের দিন হত্যা মিশন শেষ করা হয়।

‘কিলিং মিশনে আকাশ ও তার সহযোগী ছিলেন, যিনি মোটরসাইকেল চালানোর দায়িত্বে ছিলেন। ঘটনার পরদিন একটি গাড়ি নিয়ে আকাশ জয়পুরহাট চলে যান। পরে নানা তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ওই গাড়ির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের আটক করার পর তাদের তথ্যে জয়পুরহাট থেকে গতকাল রাতে আকাশকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘আকাশ প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন, তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, তবে নেপথ্যের কারণ বা মদদদাতা কারা, তা জানতে আরও তদন্ত প্রয়োজন।

‘কারণ আমাদের প্রথম উদ্দেশ্য ছিল শ্যুটারকে দ্রুত গ্রেপ্তার করা। নেপথ্যের কারণ জানতে আমাদের আরও তদন্ত প্রয়োজন।’

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে শাহজাহানপুরের আমতলা এলাকায় অজ্ঞাতপরিচয় অস্ত্রধারীর গুলিতে নিহত হন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক টিপু ও ২৪ বছর বয়সী কলেজছাত্রী প্রীতি।

২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাজধানীর গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে খুন হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল হক খান মিল্কী। আলোচিত এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি ছিলেন তৎকালীন মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপু।

টিপু ও প্রীতি হত্যার পরের দিন শুক্রবার সুরতহাল প্রতিবেদন প্রকাশ করে পুলিশ। এতে বলা হয়, টিপুর শরীরে গুলির ১৩টি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে। আর প্রীতির শরীরে মিলেছে দুটি ক্ষতচিহ্ন।

এ বিভাগের আরো খবর