বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দ. কোরিয়ায় ফিরতে চান আটকে পড়া প্রবাসীরা

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ২২:৫৫

‘আমরা দক্ষিণ কোরিয়ায় অত্যান্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ইপিএস আইন অনুযায়ী, কোরিয়ায় প্রবেশ করে একই কোম্পানিতে ৪ বছর ১০ মাস কাজ করার পর কমিটেড কর্মী হিসাবে পূর্বের কোম্পানিতে পুনরায় প্রবেশ করা যায়। এর জন্য ৯০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে আমরা রি-এন্ট্রি কমিটেড হিসাবে ৮৬২ জন এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত প্রায় এক হাজার ১০০ জন ইপিএস কর্মী দেশে আটকে আছি।’

দক্ষিণ কোরিয়া থেকে ছুটিতে বাংলাদেশে এসে করোনায় আটকে পড়েছে প্রায় ২ হাজার প্রবাসী। তারা এখন দক্ষিণ কোরিয়ার নিজ কর্মস্থলে ফিরতে চান। তাই সাহায্য চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান আটকে পড়া প্রবাসীরা। সংবাদ সম্মেলনে তাদের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এস এম আলী।

তিনি বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী কমিটেড রি-এন্ট্রি কর্মীরা ৯০ দিনের আবশ্যক ছুটিতে দেশে এসে করোনা মহামারির কারণে প্রায় ২ বছর যাবত আটকে আছি। দক্ষিণ কোরিয়া ২০০৮ সাল থেকে এমপ্লয়মেন্ট পারমিট সিস্টেমের (ইপিএস) মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে কর্মী সংগ্রহ করছে। আমরা বাংলাদেশি কর্মীরা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় যাই। ২০০৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত প্রায় ২১ হাজার ৯৩৩ জন বাংলাদেশি কর্মী ইপিএসের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ কোরিয়ায় অত্যান্ত সুনামের সঙ্গে কাজ করে আসছি। ইপিএস আইন অনুযায়ী, কোরিয়ায় প্রবেশ করে একই কোম্পানিতে ৪ বছর ১০ মাস কাজ করার পর কমিটেড কর্মী হিসাবে পূর্বের কোম্পানিতে পুনরায় প্রবেশ করা যায়। এর জন্য ৯০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটিতে আমরা রি-এন্ট্রি কমিটেড হিসাবে ৮৬২ জন এবং নতুন ভিসা প্রাপ্ত প্রায় এক হাজার ১০০ জন ইপিএস কর্মী দেশে আটকে আছি। এতে করে প্রায় ২ বছর যাবত বাংলাদেশ সরকার প্রতি মাসে প্রায় ৩০ কোটি টাকার অধিক রেমিটেন্স থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’

আলী বলেন, ‘করোনার প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালের মার্চ মাস থেকে বাংলাদেশ ভিসা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে। আমাদের দেশের করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে দক্ষিণ কোরিয়া ভিসা নিষধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পরও আমরা কমিটেড কর্মীরা দক্ষিণ কোরিয়া প্রবেশ করতে পারিনি। ভিসা নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেয়ার পর ছুটিতে আসা ইপিএসসহ অন্যান্য ভিসাধারী বাংলাদেশি ব্যক্তিরা কোরিয়ায় গেলে পরীক্ষায় তাদের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। যার ফলে পুনরায় নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে বাংলাদেশ। এর ফলে নিভতে শুরু করে আমাদের আশার আলো। এ অবস্থায় আমরা দক্ষিণ কোরিয়ায় ফিরে যেতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।’

সংবাদ সম্মেলনে ইপিএস কর্মীদের পক্ষ থেকে আরও উপস্থিত ছিলেন মৃদুল সোম, রতীন্দ্র মোহনসহ অন্যরা।

এ বিভাগের আরো খবর