করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার নামে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রতারণা, জাল সনদ দেয়ার অভিযোগের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা ডা. সাবরিনা ও আরিফুল চৌধুরীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ আগামী ৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছে আদালত।
সোমবার তেজগাঁও থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মনিরুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আর সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।
আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় পুনরায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত নতুন করে এই তারিখ ধার্য করেছে।
এ নিয়ে মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
চার্জশিটভুক্ত অপর আসামিরা হলেন—সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ুন কবির ও তার স্ত্রী তানজীনা পাটোয়ারী, নির্বাহী অফিসার শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইসেন্সের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা, বিপ্লব দাস ও মামুনুর রশীদ। বর্তমানে সকলেই কারাগারে রয়েছেন।
মামলার তদন্ত শেষ হওয়ায় গত ৫ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট জিআর শাখায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী এ চার্জশিট জমা দেন।
চার্জশিটে জেকেজি হেলথ কেয়ারের কম্পিউটারে এক হাজার ৯৮৫টি ভুয়া রিপোর্ট ও ৩৪টি ভুয়া সার্টিফিকেট জব্দের কথা বলা হয়েছে।
গত ২৩ জুন জেকেজির সিইও আরিফসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় তেজগাঁও থানায় প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির অভিযোগে পুলিশ মামলাটি করে।