বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আবরার হত্যার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ৭ সেপ্টেম্বর

  •    
  • ২৩ আগস্ট, ২০২১ ১৫:৩৩

এরপর এই আলোচিত মামলায় বাকি থাকবে শুধু একটি ধাপ। আর সেটা হলো মামলার রায়। সোমবার দুপুরে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের দেয়া সাফাই সাক্ষীগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এই তারিখ দেন।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার ঘটনায় করা মামলার যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) আগামী ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর এই আলোচিত মামলায় বাকি থাকবে শুধু একটি ধাপ। আর সেটা হলো মামলার রায়।

সোমবার দুপুরে ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান আসামিদের দেয়া সাফাই সাক্ষীগ্রহণ শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য এই তারিখ দেন।

এদিন মোট পাঁচ জন সাফাই সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু।

তার মধ্যে চারজনের সাফাই সাক্ষী আদালত গ্রহণ করে। আসামি মেহেদী হাসান রাসেলের পক্ষে তার বাবা রুহুল আমিনসহ তিনজন।

অপর দুইজন হলেন সিদ্দিক মিয়া ও রাজিব মোল্লা।

এছাড়া আসামি ইশতিয়াক আহমেদ মুন্নার পক্ষে আদালতে সাফাই সাক্ষী দেন রাসেল মিয়া।

অপরদিকে আসামি রাসেলের পক্ষে মো. তাউসিফ নামে একজনের সাফাই সাক্ষী গ্রহণ করে নাই আদালত।

গত ২২ আগস্ট আসামি জিয়ন ও রাসেল ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ৩৪০(৩) ধারার আইনি অধিকার বলে আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর সোমবারের সাফাই সাক্ষী প্রদানের মধ্যে দিয়ে মামলাটির সকল প্রকার সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায় বা ধাপ শেষ হওয়ার ফলে আদালত যুক্তিতর্কের জন্য এ তারিখ দেয়।

আসামি পক্ষে আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু সাক্ষীদের আদালতে সহায়তা প্রদান করেন।

রাষ্ট্র পক্ষে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা সাফাই সাক্ষীদের জেরা করেন।

বিষয়টি সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার মো. জুম্মন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।

এদিন কারাগারে থাকা ২২ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলাটিতে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

গত বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর একই আদালত আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন। গত ১৩ জানুয়ারি আবরার হত্যা মামলার নথিটি বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত। এরপর মহানগর দায়রা জজ আদালত দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ পাঠানোর আদেশ দেন।

২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটি আদালতে জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান।

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি ১৯ জন। এছাড়া তদন্তে আরও ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে ২২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনজন পলাতক। তাদের মধ্যে আটজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।

২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে বুয়েটের শেরেবাংলা হলের সিঁড়ি থেকে আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে জানা যায়, শিবির সন্দেহে তাকে ডেকে নিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে পিটিয়ে হত্যা করে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ চকবাজার থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর