রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়িতে একটি বাণিজ্যিক ভবনে আগুনের ঘটনার পর পরই বিমাবন্দর-মহাখালী রোডে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতি ছড়িয়ে গোটা শহরেই।
ছয় তলা ভবনটিতে শনিবার সকাল ৯টা ১০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১৫ টি ইউনিটের প্রায় চার ঘণ্টার চেষ্টায় দুপুর ১টা ৫ মিনিটের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আর এই সময়ে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে বাঁধে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ে পথচারীরা।
বনানী-মহাখালী-উত্তরা রোড তো বটেই তীব্র যানজট দেখা গেছে লিংক রোড, সাত রাস্তা, মগবাজার, মিন্টোরোড, বিজয় স্মরণী, ফার্মগেট, কাওরানবাজার এলাকায়ও ছিল অসহনীয় যানজট।
বেলা ১১টায় মহাখালী হয়ে মোহাম্মদপুর যাওয়ার পথে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সামনে যানজটে আটকা পড়ে ভূঁইয়া পরিবহনের একটি গাড়ি। সেই গাড়ি বিকেল ৩টার সময় এসে বনানী পৌঁছায়। ৯ কিলোমিটার রাস্তা চার ঘণ্টায় এসেছেন বলে জানান ভূঁইয়া পরিবহনের ওই বাসটির চালক মো. মুন্না।
বনানী এলাকায় দায়িত্বে থাকা সার্চেন্ট মো. ইসরাফিল বলেন, ‘সড়কের দু পাশেই তীব্র যানজট। বনানী থেকে শুরু করে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত গাড়ি আটকে আছে। আর এদিকে মহাখালী, সাতরাস্তা, মগবাজার হয়ে মিন্টুরোড পর্যন্ত যানজট লেগেছে।’
এয়ারপোর্ট টু বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে চলাচলকারী একটি বাসের ড্রাইভার মো. মহসীন বলেন, ‘এমন জ্যাম গত এক বছরেও দেহি নাইক্যা। আজ মনে হয় এক ট্রিপও মারতে পারুম না। জমার টেকা পকেট থেকে দেয়া লাগবে।’
যানজট ঠেলে মিরপুরের শেওড়াপাড়া থেকে বাড্ডায় আসা মৌসুমী ইসলাম নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী জানালেন, এটুকু রাস্তা আসতে তার লেগেছে সাড়ে ৩ ঘণ্টা।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটা সিগন্যাল পার হতে লেগেছে কমপক্ষে ৪০ মিনিট করে। এমনিতে বাড্ডায় আসি মাত্র আধা ঘণ্টায়। আজ লেগেছে সাড়ে তিন ঘণ্টা। অসম্ভব যানজট ছিল। শুনেছি, বনানীর কোথায় আগুন লেগেছে। এ কারণে যানজট।’