মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনির বিরুদ্ধে করা রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানির সময় ঢাকা মুখ্য মহানগর আদালতে এক আইনজীবীর পকেট কাটতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েছেন এক যুবক।
পরীমনিকে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের এজলাসে তোলা হয়। এ সময় তাকে দেখার জন্য আইনজীবী, পুলিশ, সংবাদকর্মী, আদালতের স্টাফ ও সাধারণ মানুষের ভিড় জমে যায়।
ভিড়ের সুযোগে সুমন নামের এক আইনজীবীর পকেট থেকে মানিব্যাগ নিয়ে পালাতে যান এক যুবক। সঙ্গে সঙ্গে আইনজীবীরা তাকে ধরে ফেলেন; চড়-থাপ্পড় দিতে থাকেন।
ওই যুবকও দাবি করেন তার নাম সুমন। পরে মানিব্যাগে থাকা ভিজিটিং কার্ড ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে নিশ্চিত করা হয় ওই মানিব্যাগটি আইনজীবী সুমনের। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী ওই যুবককে পিটুনি থেকে রক্ষা করে পুলিশে হস্তান্তর করেন।
তবে এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন কোতোয়ালি থানার ডিউটি অফিসার পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ ইলিয়াস।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে এ ধরনের কোনো খবর নাই। এ বিষয়ে কেউ অভিযোগও করেননি।’
ঢাকা বারের দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবিব লিঙ্কন জানান, এমন কাউকে আইনজীবী সমিতি ভবন থেকে থানায় পাঠানো হয়নি। বিষয়টি তিনি জানেন না।
পরীমনিকে একনজর দেখতে আদালত প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবারও ছিল উৎসুক জনতার ভিড়। আইনজীবী, সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষের ভিড়, ধাক্কাধাক্কিতে আদালতের গারদখানার গেটে পড়েই যান মাদক মামলায় গ্রেপ্তার আলোচিত এই অভিনেত্রী।
শুনানি শেষে মাদক মামলায় সিআইডির আবেদনে পরীমনিকে আরও এক দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত।
আদেশ শেষে পরীমনিকে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এজলাস কক্ষের কাঠগড়া থেকে লিফটে করে আদালত ভবনের অষ্টম তলা থেকে নিচে নামানো হয়। এ সময় সাংবাদিক, আইনজীবীদের ভিড় ও ধাক্কাধাক্কিতে গারদখানার গেটের সামনে দুই নারী পুলিশ সদস্যসহ পড়ে যান পরীমনি। এ সময় তাকে খুব বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।
সিএমএম আদালতের গারদখানার ইনচার্জ শহীদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সাংবাদিক, আইনজীবী ও উৎসুক মানুষের ভিড়ের ধাক্কায় আমরা নিজেদের সামলাতে হিমশিম খেয়েছি। শতাধিক পুলিশ সদস্য দায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে মানুষের চাপ সামলাতে না পেরে কর্তব্যরত নারী পুলিশসহ তিনি পড়ে যান। তবে কোনো সমস্যা হয়নি। পরক্ষণেই সব সামলে নেয়া হয়েছে।’