ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের বিভাগীয় কক্ষে তালা লাগানোর ২৭ ঘণ্টা পর সেই তালা ভাঙা হয়েছে।
এর আগে বুধবার বেলা দেড়টায় ছাত্রলীগ এবং বিকেল পৌনে ৫টায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীরা এই অধ্যাপকের বিভাগীয় কক্ষ মোতাহার হোসেন ভবনের ১২৩ নম্বর রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন।
বৃহস্পতিবার বিকেল সোয়া ৫টায় তালাগুলো ভাঙা হয়। পাশাপাশি কক্ষের দরজায় সাঁটানো ফেস্টুনগুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়। এর আগে বিকেল ৪টায় তালা ভাঙতে উপাচার্য বরাবর আবেদন করেন ড. আসিফ নজরুল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী নিউজবাংলাকে বলেন, বিকেল ৫টায় আমি নিজে উপস্থিত থেকে তালাগুলো ভেঙে বিভাগের হাতে কক্ষটি বুঝিয়ে দিয়েছি।
২৭ ঘণ্টা পর কেন তালা ভাঙা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘গতকাল শেষ বেলায় তালাগুলো লাগানো হয়েছে৷ আজকে আমরা ভেঙে ফেলেছি। আমরা সবাই দায়িত্বশীল এবং সহনশীল হলে এগুলো হয় না। ঘটনা ঘটার পর টানাহেঁচড়া করার চেয়ে ঘটনা যেন না ঘটে সেদিকে আমরা সচেষ্ট এবং নিষ্ঠাবান হই।’
তালা দেয়ার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেখি, আমরা একটা স্টেপে যাচ্ছি৷ যখন যেটা হবে আপনাদের জানানো হবে।
তালা দেয়ার বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক জায়গা। এটি মিছিল-স্লোগানের জায়গা। আসিফ নজরুল উনি আমাদের চেয়ারম্যান। ওনাকে এবং প্রক্টরকে সমন্বয় করে কী কী ঘটেছিল তথ্যগুলো নিতে বলেছি। প্রক্টর স্যার বিষয়টা দেখছেন।’