রাজধানীর হাতিরঝিল এলাকায় স্বামীর সঙ্গে অভিমান করে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
বাড্ডায় ছোট বোনের সঙ্গে অভিমান করে একই কাজ করেন আরেক তরুণী।
এদিকে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার জিয়া সরণি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনে রডের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জাবেদ নামের এক নির্মাণশ্রমিক নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আহত হন।
হাতিরঝিল থানার মধুবাগ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া করে রুনি আক্তার নামে ২০ বছর বয়সী এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার দিবাগত রাতে তিনি বিষপান করেন। পরে ভোর সোয়া ৫টায় তাকে অচেতন অবস্থায় তার স্বামী উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্বামী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘রাতে আমাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। আমি তাকে একটি থাপ্পড় মারি। সে নিজের রুমে চলে যায়। পরে কখন সে ইঁদুর মারার বিষ খেয়েছে জানি না। রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সে জানায়, ইঁদুর মারার বিষ খেয়েছে। তারপর আমি তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। আনার পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমরা হাতিরঝিলের মধুবাগ ঝিলপাড় ৩ নম্বর গলিতে থাকি। আমাদের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেহেরপাড়া গ্রামে।’
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি হাতিরঝিল থানাকে জানানো হয়েছে।
রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় খালপাড়ে ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে সুমাইয়া আক্তার তন্বী নামে ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী আত্মহত্যা করেছেন।
বুধবার রাত ৮টায় তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের খালা রাহিমা বলেন, ‘আমার বোন (নিহতের মা) সৌদি আরব থাকে। এ জন্য তারা দুই বোন আমার আরেক বোনের কাছে বাড্ডাতে থাকে। সন্ধ্যায় ছোট বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে তন্বী। পরে আমার বোন বলে, তোমার ছোট বোন তুমি এমন করো কেন? পরে বাসায় ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। আমরা তাকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসি। আনার পরে চিকিৎসক জানান সে মারা গেছে। সে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।’
তিনি আরও জানান, তাদের বাসা উত্তর বাড্ডার খালপাড় এলাকায়। নিহত মেয়েটির বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর থানার কামারগাঁও এলাকায়। নিহতের বাবার নাম আবুল কাশেম। ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি বাড্ডা থানাকে জানানো হয়েছে।
এদিকে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার জিয়া সরণি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন চারতলা ভবনে রডের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে জাবেদ নামের এক নির্মাণশ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এ ঘটনায় আরও দুই শ্রমিক আহত হন।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় তাদের তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জাবেদকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি দুজন চিকিৎসাধীন।
জাবেদের সহকর্মী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শনির আখড়ার জিয়া সরণি এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনে চারতলায় আমরা সবাই কাটিং মেশিন দিয়ে রড কাটছিলাম। হঠাৎ রড কটার সময় জাবেদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পাশে থাকা অন্য দুজন তাকে বাঁচাতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। পরে তিনজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জবেদকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নিহত জাবেদের গ্রামের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়। তিনি ওই নির্মাণাধীন ভবনে থাকতেন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।