ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলকে কীভাবে শায়েস্তা করতে হয় সে পদ্ধতি জানা আছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই অধ্যাপক বিভিন্ন সময় জামায়াত শিবির এবং জঙ্গিবাহিনী নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলে দুঃসাহস দেখিয়েছেন। আমরা জানি কীভাবে এদের শায়েস্তা করতে হয়। এর থেকেও অনেক বড় রাঘব-বোয়ালরা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে। সুতরাং দুঃসাহস দেখানোর কোনো অবকাশ নেই। আমরা তাদের রুখে দাঁড়াবো।’
বুধবার দুপুরে শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব কথা বলেন লেখক। এর আগে সিরিজ বোমা হামলা দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে কালো পতাকা মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে শেষ হয়।
সমাবেশে লেখক ভট্টাচার্য বলেন, ‘অধ্যাপক আসিফ নজরুল শিক্ষক নামের কলঙ্ক। তিনি বিভিন্ন সময় জামায়াত শিবির এবং জঙ্গিবাহিনী নিয়ে উস্কানিমূলক কথাবার্তা বলেন। তালেবানি আদর্শপুষ্ট বিএনপি জামায়াতের দালালি করার জন্য এই শিক্ষক ফেসবুকে দুঃসাহস দেখিয়েছে।’
এর আগেও তিনি তার এক বক্তৃতায় বলেছেন, কেউ শিবির করলে কী হয়েছে। শিবির হলেই তাকে মারতে হবে? আমরা বলতে চাই, শিবির করলেই তাকে মারতে হবে। কারণ কোন ধর্মীয় উগ্রবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে লেখক বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের প্রতি আমাদের আহ্বান, যে কোন মূল্যে এই আসিফ নজরুলকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিতাড়িত করার ব্যবস্থা করুন। আপনারা যদি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করেন তাহলে আমরাই দায়িত্ব হাতে তুলে নিব। গণধোলাই দিয়ে আসিফ নজরুল গংদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাটি থেকে বিতাড়িত করা হবে।’
আসিফ নজরুলকে উদ্দেশ্য করে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘আমরা শিক্ষকদের সম্মান করি। কিন্তু আপনি বারবার সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার জন্য বাসায় বসে ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দেন। আপনার যদি পাকিস্তানে যাওয়ার ইচ্ছা থাকে তাহলে পাসপোর্ট করে পাকিস্তান চলে যান। দেশের উন্নয়নের পক্ষে অবস্থান না নিয়ে শিবির গং ও জঙ্গিগোষ্ঠীর পক্ষে অবস্থান নিলে গণধোলাই দিয়ে পাকিস্তান পাঠিয়ে দেয়া হবে।’
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনও বক্তব্য রাখেন। এছাড়া ছাত্রলীগের সহ সভাপতি মাহমুদুল হাসান, রাকিব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফেরদৌস মাহমুদ, আইন সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাতসহ ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের দুই শতাধিক নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।