মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌয়ের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ডকুমেন্ট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে এক ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদাবাজির চেষ্টা করেছিল অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন। চাঁদাবাজির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাদের দুজনকে এক দিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ-উর-রহমান শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে পাঠানো আসামিরা হলেন কাজী আল জাহিদ ও সাইদ আব্দুস সানি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের উপ-পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল করিম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এই দুই আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন সহযোগী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, মানহানিকর তথ্য-উপাত্ত প্রচার ও প্রকাশ করার হুমকি দিয়ে এক ব্যক্তির কাছে থেকে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এ অবস্থায় আসামিদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আসামিদের পক্ষে অ্যাডভোকেট মশিউর রহমান রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়।
শুনানি শেষে আদালত দুজনকে এক দিনের রিমান্ডে পাঠায়।
এর আগে শাহরিয়ার মাকসুমের কাছে হোয়াটস অ্যাপে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে তার স্ত্রী তাজরুনা হোসেন নেভী তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় ১৭ আগস্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ১৩ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টার দিকে হোয়াটস অ্যাপে শাহরিয়ার মাকসুমকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, মডেল পিয়াসা ও মৌয়ের সঙ্গে তার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবিসহ কিছু ডকুমেন্ট তাদের কাছে রয়েছে। ৩ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে সেগুলো সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়।
ইতোমধ্যে আসামিদের সহযোগী অজ্ঞাতনামা চার-পাঁচজন শাহরিয়ার মাকসুমের ছবি ব্যবহার করে তার নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারসংবলিত ভিত্তিহীন সংবাদ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন বলে উঠে আসে মামলার অভিযোগে।