রাজধানীর গুলশান থানায় করা মাদক, বন্য প্রাণী সংরক্ষণসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
বুধবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক সাজেদা লতা আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আদালতে হাজির করেন।
তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার জন্য মহানগর হাকিম আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
এ সময় মহানগর হাকিম মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালতে আসামি পক্ষে আইনজীবী শফিকুল ইসলাম জামিন চেয়ে শুনানি করতে আবেদন করেন।
বিচারক তখন বলেন এই মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীর ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করছেন, যার ফলে জামিনের আবেদন গ্রহনযোগ্য নয়।
এরপর আইনজীবী বলেন, তাহলে আমার জামিন আবেদন নথিভুক্ত করা হোক। বিচারক জামিনের আবেদন নথিভুক্ত করে বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির জন্য তারিখ দেন।
এর আগে এদিন পল্লবী থানায় করা প্রতারণা মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসীম।
তবে মঙ্গলবার পল্লবী থানার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জামিন দেয় আদালত।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নম্বর রোডের ৫নম্বর বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়।
অভিযানে বিদেশি মদ, ক্যাঙ্গারুর চামড়া, হরিণের চামড়া, মোবাইল ফোন, চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
পরবর্তী সময়ে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে।
পরে পল্লবী থানার প্রতারণা মামলা ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা এবং গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় এবং মাদক মামলায় তাকে ১৭ দিনের রিমান্ডে পাঠান আদালত।