রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনটি মামলা হয়েছে।
শেরেবাংলা নগর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় আসামি করা হয়েছে ১৫৫ জনকে। অন্যদিকে দুটি মামলা করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. শহিদুল্লাহ জানান, পুলিশের ওপর হামলা ও নাশকতা পরিকল্পনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম মুন্সি বলেন, ‘চন্দ্রিমা উদ্যানে আমাদের ওপর যে হামলা হয়েছে, সে জন্য মঙ্গলবার রাতে একটি মামলা হয়েছে। পরে হয়েছে আরও দুটি মামলা। তিন মামলায় ৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
পুলিশ জানায়, হামলা ও সংঘর্ষে পুলিশের করা মামলায় ১৫৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অন্যতম আসামি করা হয়েছে বিএনপির নবগঠিত ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, সদস্যসচিব আমিনুল হকসহ নেতা-কর্মীদের। অন্য আসামিদের বেশির ভাগ অজ্ঞাতনামা।
পরিকল্পিতভাবে নাশকতার চেষ্টা, পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর করে জানমালের ক্ষতিসাধনের অভিযোগ আনা হয়েছে এজাহারে।
মেট্রোরেলের ২ মামলা
চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার সকালে দুটি মামলা করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। একটি মামলা করেছেন ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের সিইও, অন্যটি করেছে মেট্রোরেল প্রকল্পের অন্যতম ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান আবদুল মোনেম গ্রুপ। মামলায় মেট্রোরেল প্রকল্পাধীন এলাকায় প্রকল্পের গাড়ি ও সরঞ্জাম ভাঙচুর এবং শ্রমিকদের মারধরের অভিযোগ করা হয়েছে। এতে ৪০ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মেট্রোরেলের মামলা দুটিতে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে মঙ্গলবার সকালে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতারা। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায়। তাদের দমাতে মারমুখী হয় পুলিশও।