টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর পল্লবী থানায় করা এক মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীর।
ঢাকা মুখ্য মহানগর বিচারিক (সিএমএম) হাকিম আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালত মঙ্গলবার হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আদেশ দেন।
আসামিপক্ষে আইনজীবী ছিলেন শফিকুল ইসলাম। তিনি আদালতকে জানান, মামলাটিতে জামিন দেয়ায় এখতিয়ার রয়েছে। কারণ, এটি জামিনযোগ্য মামলা। যেকোনো শর্তে তিনি জামিন চান।
রাষ্ট্রপক্ষে পল্লবী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মো. সেলিম জামিনের বিরোধিতা করেন।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত দুই হাজার টাকা মুচলেকায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের জামিন আদেশ দেন।
মামলাটিতে জামিন পেলেও মুক্তি মিলছে না হেলেনা জাহাঙ্গীরের। কারামুক্ত হতে হলে তাকে পল্লবী থানার প্রতারণা মামলা, গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা এবং মাদক মামলায় জামিন পেতে হবে।
আওয়ামী লীগের নামের সঙ্গে মিল রেখে নামসর্বস্ব সংগঠন ‘চাকরিজীবী লীগ’ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত হন ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর।
র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১-এর অভিযানে ২৯ জুলাই রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নং রোডের ৫ নং বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’ থেকে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে আটক করা হয়।
অভিযানে জব্দ করা হয় ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ১টি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, ১টি হরিণের চামড়া, ২টি মোবাইল ফোন, ১৯টি চেকবই ও বিদেশি মুদ্রা, ২টি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জাম ৪৫৬টি চিপস।
পরে মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করে বিটিআরসি ও র্যাব। অনুমোদনহীন হওয়ায় জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে ও অবৈধ মালামাল জব্দ করে র্যাব।
৩০ জুলাই বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৫, ৫৫ ও ৭৩ ধারায় পল্লবী থানায় মামলাটি হয়।
জয়যাত্রা টেলিভিশন পরিচালনার মাধ্যমে হেলেনা জাহাঙ্গীর এসব ধারায় অপরাধ করেছেন বলে জানায় ল্যাব। ধারাগুলোতে টেলিযোগাযোগ, ইন্টারনেট ইত্যাদির জন্য লাইসেন্স-সংক্রান্ত জটিলতা, বেতার যন্ত্রপাতির জন্য লাইসেন্সের প্রয়োজনীয়তা, এখতিয়ার, পদ্ধতি-সংক্রান্ত সংকট এবং পারমিটের শর্ত ভঙ্গ, তথ্য পরিবর্তন ইত্যাদি বিষয় সংযুক্ত ছিল।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের নামে মামলা করা হয় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদক আইন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে।
চার মামলায় হেলেনা জাহাঙ্গীর ১৭ দিনের রিমান্ডে ছিলেন।