বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আগাম জামিন ফের চালু হচ্ছে

  •    
  • ১৭ আগস্ট, ২০২১ ১৩:৪২

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম কিছু দিন বন্ধ থাকার পর ৪ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে ভার্চুয়ালি চালু হয় হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ। সব বেঞ্চে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হলেও বন্ধ ছিল আগাম জামিনের দরজা।

করোনাভাইরাস মহামারিতে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর আগামী ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হচ্ছে।

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আগামী ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগে সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চসমূহে আগাম জামিন শুনানি গ্রহণ করা হবে। সংশ্লিষ্ট ফৌজদারি মোশন বেঞ্চ শুনানির সময় নির্ধারণ করবে।

সুপ্রিম কোর্টের এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন আইনজীবীরা।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে উচ্চ আদালতের কার্যক্রম কিছু দিন বন্ধ থাকার পর ৪ এপ্রিল থেকে ধীরে ধীরে ভার্চুয়ালি চালু হয় হাইকোর্ট বিভাগের বেঞ্চ। সব বেঞ্চে ভার্চুয়ালি বিচারকাজ শুরু হলেও বন্ধ ছিল আগাম জামিনের দরজা।

কবে নাগাদ আগাম জামিনের সুযোগ মিলবে সুনির্দিষ্ট করে সেটি কেউ বলতে পারছিলেন না। এতে করে বিচারপ্রার্থীদের অধিকার লঙ্ঘিত হওয়ার পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হন আইনজীবীরা।

আইনজ্ঞরা বলেন, বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের পথ খোলা আছে, একই সঙ্গে গ্রেপ্তারও বহাল আছে, কিন্তু আগাম জামিন বহাল নেই। ফলে ভার্চুয়ালি হলেও উচ্চ আদালতে আগাম জামিন পাওয়ার সুযোগ রাখা উচিত।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগাম জামিনের পথ খুলে দেয়া উচিত। যদি প্রমাণিত হয় বিনা কারণে কাউকে ধরতে চাচ্ছে বা গ্রেপ্তার করতে চাচ্ছে, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হলে নাগরিক হিসেবে তার অধিকার রয়েছে আদালতে এসে জামিন নেয়া। ভার্চুয়ালি হোক কিংবা স্বাস্থ্যবিধি মেনে আদালতে হাজির হয়ে হোক, ব্যক্তির আগাম জামিনের সুযোগ রাখা উচিত বলে আমি মনে করি।’

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘হাইকোর্ট বিভাগের সব বেঞ্চ ভার্চুয়ালি খুলে দেয়া হয়েছে, কিন্তু আগাম জামিনের পথটি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে আমি মনে করি, সব আদালত খুলে দেয়া অর্থপূর্ণ হলো না। আগাম জামিনসহ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সব পথ খুলে দিলেই বলা যেত, প্যানডেমিক বিবেচনায় নিয়ে এটি করা হয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজনৈতিক মামলাও হচ্ছে, এ ক্ষেত্রে তারা আইনের আশ্রয় নেয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর ফলে দ্রুত কার্যকর ন্যায়বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সবাই সমান সুযোগ পাবে না।’

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব আদালত। কিছু দিন বন্ধ থাকার পর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পর্যায়ক্রমে সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল কোর্টে বিচারকাজ শুরু হয়। এরপর দফায় দফায় কোর্ট সংখ্যা বাড়ানো হয়।

হাইকোর্ট বিভাগের চালু বেঞ্চকে ফৌজদারি মোশনের ক্ষমতা দেয়া হলেও তাতে আগাম জামিন আবেদন নিষ্পত্তির এখতিয়ার দেয়া হয়নি। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। এতে আগামী ২২ আগস্ট থেকে হাইকোর্ট বিভাগে আগাম জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শুরু হচ্ছে বলা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর