রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায়। তাদের দমাতে মারমুখী হয় পুলিশও।
পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সব নেতা-কর্মীকে। তারা সকল বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে এখানে এসেছেন। তারা মাজার জিয়ারত করেছেন, ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।’
ঘটনার জন্য পুলিশ ও সরকারকে দায়ী করে ফখরুল বলেন, ‘এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পায়ের নিচে মাটি নেই। তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই এভাবে হামলা করে জনগণকে চুপ রাখতে চাইছে।
‘বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারকে পরাজিত করবে। বিএনপির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের নেতা-কর্মীরা সেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন।’
তিনি বলেন, ‘আজকের ঘটনায় অসংখ্য নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঠিক কতজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’
বিএনপিকর্মীরা ইট মেরে উসকানি দিয়েছেন বলে পুলিশের দাবি সম্পর্কে ফখরুল বলেন, ‘এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। একটা শান্তিপূর্ণ জমায়েত ছিল। তারা কবর জিয়ারত করতে এসেছিলেন। সেখানে উসকানির প্রশ্নই আসে না।’
রাজধানীর চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে সোমবার সকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতারা।
পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রাবার বুলেট ছোড়ে। ঘটনার শুরুতে বিএনপিকর্মীরা ইট মেরে উসকানি দিয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।