স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার শর্তে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দিন থেকেই খুলছে মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা।
এ জন্য সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন জাতীয় চিড়িয়াখানার পরিচালক আব্দুল লতিফ। বললেন, চিড়িয়াখানা খুললেও করোনা ঝুঁকি এড়াতে দর্শনার্থীর সংখ্যা থাকবে সীমিত।
আব্দুল লতিফ বলেন, আগামী ১৯ আগস্ট চিড়িয়াখানা খুলতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনার কথা চিন্তা করে দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা নিশ্চিত করা ছাড়াও জ্বর মেপে ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করানো হবে। সীমিত করা হবে দর্শনার্থীর সংখ্যাও।
চিড়িয়াখানার এই পরিচালক জানান, করোনায় প্রায় দেড় বছর দর্শনার্থীর চাপ না থাকায় প্রাণীগুলো অনেকটা নিজস্ব পরিবেশ ফিরে পেয়েছে। প্রজননও ভালো হয়েছে। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় হরিণ, জলহস্তী, বক প্রজাতির পাখিসহ অনেক প্রাণীই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি রয়েছে। এসব প্রাণী পর্যায়ক্রমে অন্য চিড়িয়াখানায় স্থানান্তর করা হবে।
চলতি বছর করোনার প্রকোপ বাড়লে গত ২ এপ্রিল থেকে জাতীয় চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর আগে ২০২০ সালে টানা আট মাস বন্ধ থাকার পর নভেম্বরের ১ তারিখ খুলে দেয়া হয়েছিল বিনোদনকেন্দ্রটি।
কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্ধের সময়ে নিরিবিলি পরিবেশে প্রাণীর প্রজনন বেড়েছে। পাশাপাশি যত্নের মান উন্নয়ন হওয়ায় কমেছে প্রাণী মৃত্যু। ফলে বেশ কিছু প্রাণীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি হয়ে গেছে। এ অবস্থায় হরিণ ও ময়ূর বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
গত বছর ২০ মার্চ থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত বন্ধের সময় ১১৬টি শাবক উপহার দিয়েছিল চিড়িয়াখানার প্রাণীরা। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখের পর থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত ৪২টি নতুন পশুপাখি সংযোজিত হয়েছে। পরে ১ এপ্রিল থেকে আবারও বন্ধ হয় চিড়িয়াখানার দরজা। এই অবকাশেও বেশ কিছু প্রাণী বাচ্চা দিয়েছে।
চিড়িয়াখানা সুরক্ষায় হচ্ছে নতুন আইন। গত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইন, ২০২১’ এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদনও দেয়া হয়েছে। এতে টিকিট ছাড়া কেউ চিড়িয়াখানায় ঢুকলে দুই মাসের জেল ও এক হাজার টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।