বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সগিরা মোর্শেদ হত্যা: পরবর্তী শুনানি ১৫ সেপ্টেম্বর

  •    
  • ১৬ আগস্ট, ২০২১ ২২:২৯

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী। প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।

৩২ বছর আগে ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদ সালাম হত্যা মামলাটি পরবর্তী বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলাটির প্রথম তারিখ ধার্য ছিল।

এ দিন সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী ও জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন আদালতে আত্মসমর্পণ করে পূর্ব শর্তে জামিন নেন।

আসামিপক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজলসহ কয়েকজন পূর্ব শর্তে জামিন আবেদন করে শুনানি করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভুঞা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ৫০০ টাকা মুচলেকায় ডা. হাসানসহ দুই আসামির জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

আদালত আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ধার্য করেছে বলে ট্রাইব্যুনালের পেশকার কবির হোসেন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মামলাটি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এ বিচারে গেজেট প্রকাশ করে। এরপর মামলাটি বদলি করা হয়।

আসামিরা হলেন সগিরা মোর্শেদের ভাশুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, জা সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহিন, মো. মন্টু, শ্যালক আনাছ মাহমুদ রেজওয়ান ও মারুফ রেজা । আসামিদের মধ্যে আনাস মাহমুদ ও মারুফ রেজা কারাগারে আছেন। অপর তিন আসামি জামিনে রয়েছেন।

গত বছর ২ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এরপর মামলার বাদী সগিরা মোর্শেদের স্বামী সালাম চৌধুরী সাক্ষ্য দেয়া শুরু করেন। তবে তা শেষ হয়নি।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই বিকেলে সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্বামী সালাম চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনের কথা বললেও মিন্টু ওরফে মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২৩ মে বিচারিক আদালত অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে মারুফ রেজা হাইকোর্টে আবেদন করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯১ সালের ২ জুলাই হাইকোর্ট রুল দিয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ স্থগিত করে।

পরের বছরের ২৭ আগস্ট অন্য এক আদেশে হাইকোর্ট ওই রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশের মেয়াদ বাড়ান। এরপর ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের জন্য উদ্যোগ নেয় রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৬ জুন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মামলার অধিকতর তদন্ত আদেশে এর আগে দেয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে। একই সঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে ওই মামলার অধিকতর তদন্ত শেষ করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেয়।

২০১৯ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। ২০২০ সালের ১৫ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই-এর পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। গত বছর ৯ মার্চ চার আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর