নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান জাহিদ হাসান রাজু ওরফে ফোরকানসহ তিনজনকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
কারাগারে যাওয়া অপর দুই আসামি হলেন- সাইফুল ইসলাম মারুফ ওরফে বাসিরা ও মো. রুম্মান হোসেন ফাহাদ ওরফে আব্দুল্লাহ।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসান রাজু ওরফে ইসমাঈল হাসান ওরফে ফোরকান নব্য জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান হিসেবে বোমা তৈরীর প্রশিক্ষণ দেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় তার তৈরী বোমা ব্যবহৃত হয়েছে বলে পুলিশের দাবি।
ডিএমপির কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) বোম ডিসপোজাল ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) ইলিয়াস হোসেন সোমবার তিন আসামিকে আদালতে হাজির করেন। কাফরুল থানায় দায়ের করা সন্ত্রাস নিরোধ আইনের মামলায় তিনি আসামিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর হাকিম ধীমান চন্দ্র মন্ডল তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
কাফরুল থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে গত ১১ আগস্ট তিন আসামির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল আদালত।
রাজধানীর কাফরুল থানা এলাকা থেকে গত ১০ আগস্ট রাতে এক অভিযান চালিয়ে সিটিটিসি তিন জনকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে প্রায় দেড় মাস ধরে নিখোঁজ থাকা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদ হাসান রাজু ছিলেন।
এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরক পদার্থ, জিআই পাইপ, রিমোট কন্ট্রোল ডিভাইস, লোহার বল, সাংগঠনিক কাজে ব্যবহৃত তিনটি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব উদ্ধার করা হয়।