রাজধানীর বাড্ডা ও শনির আখড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণশ্রমিক ও ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ, পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া রোববার নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
বাড্ডা
মধ্য বাড্ডার আদর্শনগর এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের দ্বিতীয় তলায় কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে মৃত্যু হয় কবীর খাঁ (৩০) নামের এক নির্মাণশ্রমিকের।
বেলা ১১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর ১২টার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কবীরের চাচাত ভাই আব্দুল খালেক জানান, দোতলায় রডের কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন কবীর। পরে ওই ভবনের দোতলা থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিচে পড়ে যান তিনি।
কবীরের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ থানার উত্তর কালিকা বানিয়া গ্রামে। তার বাবার নাম হযরত আলী।
বাড্ডার আদর্শনগর এলাকায় থাকতেন কবীর। দুই ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, ওই ব্যক্তির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী
যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়া এলাকায় একটি ফ্যাক্টরিতে মোটরের লাইন ঠিক করার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাইন উদ্দিন (৩৫) নামের ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর ১২টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাইনের মামা আব্দুল গনি জানান, শনির আখড়ায় বাসার পাশেই একটি কারখানায় মোটরের লাইন ঠিক করার সময় অসাবধানতাবশত বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় তার ভাগ্নে। পরে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, মাইনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার কান্দারগাঁও গ্রামে। তার বাবা প্রয়াত আনসার আলী।
মাইন শনির আখড়া ৪ নম্বর রোডের বি ব্লকে ১০৫ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া জানান, মাইনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।