বেসরকারি টেলিভিশন যমুনা টিভির বিরুদ্ধে ৬৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করেছে বিডি থাই কসমো লিমিটেড।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ভাগ্নে রায়ান হামিদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে মামলাটি করেছেন আইনজীবী নজরুল ইসলাম খান।
বৃহস্পতিবার ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম খান মাসুদ নিউজবাংলাকে এ তথ্যটি নিশ্চিত করেন।
এই আইনজীবী জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে বিবাদীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে।
মামলায় যমুনা টিভির চেয়ারম্যান, এমডি, প্রধান প্রতিবেদক ও প্রচারিত প্রতিবেদনের প্রতিবেদক মো. রাসেলকে বিবাদী করা হয়েছে।
আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী তারিখ ঠিক করে বিবাদীদেরকে আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বিডি থাই কসমো লিমিটেডের বিরুদ্ধে গত ১৩, ১৪ ও ১৬ জুলাই যমুনা টেলিভিশনে একটি প্রতিবেদন প্রচার করা হয়।
ওই প্রতিবেদনটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন, মনগড়া, বানোয়াট ও মিথ্যা।
আইনজীবী বলেন, ‘বস্তুনিষ্ঠতা বিবর্জিত প্রচারিত প্রতিবেদনের কারণে বাদীর ব্যাবসায়িক সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে ও সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি।
তাই মামলাটি করার পর বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে বিবাদীদের প্রতি সমন জারি করেছে।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইটের মূল্য বাবদ দুর্নীতির অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদনটি প্রচার করা হয়।
গোপালগঞ্জ শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ, মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবন নির্মাণ কাজটি মীর আক্তার-ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন (জেভি) বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানেও কাজটি চলমান রয়েছে।
বিডি থাই কসমো লিমিটেড এ কাজের ঠিকাদার নন। প্রতিবেদনটিতে বিডি থাই কসমোর বিষয়ে মনগড়া তথ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির সুনাম ও সুখ্যাতি নষ্ট করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটি নিয়ে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মীর আক্তার-ওয়াহিদ কন্সট্রাকশন এবং বিডি থাই কসমো লিমিটেড লিখিত প্রতিবাদ প্রকাশ করেছে।
যুমনা টিভির ওই প্রতিবেদনে বিডি থাই কসমো লিমিটেড এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও তার ভাগ্নে ব্যারিস্টার রায়ান হামিদের জড়ানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি করেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।