দেশি-বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধি পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার ইশরাত রফিক ঈশিতা নামের এক চিকিৎসক ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিনারের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।
এর আগে তার আইনজীবী মো. ফোরকান জামিনের আবেদন শুনানি করে মানবিক কারণে যে কোনো স্বার্থে জামিন চান।
রাষ্ট্র পক্ষে শাহআলী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক আসাদুজ্জামান জামিনের বিরোধিতা করেন।
দুই পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে তদন্ত কর্মকর্তা শাহআলী থানার উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাসুদ রানা তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
গত ৯ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য দুই দিনের পুলিশের হেফাজতে পাঠান বিচারক।
গত ১ আগাস্ট রাতে রাজধানীর মিরপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ইশরাত নিজেকে তরুণ চিকিৎসা বিজ্ঞানী ও গবেষক, বিশিষ্ট আলোচক, ডিপ্লোম্যাট, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছিলেন। চিকিৎসক ছাড়া তার সব পরিচয়ই ভুয়া। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ভুয়া আইডি কার্ড, ভুয়া ভিজিটিং কার্ড, ভুয়া সিল, ভুয়া সনদ, ভুয়া প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ইয়াবা, বিদেশি মদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদের দুটি ইউনিফর্ম, র্যাংক-ব্যাচ জব্দ করে র্যাব। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে শাহ আলী থানায় পৃথক দুটি মামলা করা হয়। এরপর গত ২ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসামিদের পৃথক দুই মামলায় তিন দিন করে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠান।