করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে গত কয়েক মাস ধরে নানা বিধিনিষেধে অন্য সবকিছুর মতো অনেকটা থমকে গিয়েছিল বিচার কার্যক্রমও। সেই বিধিনিষেধের ইতি ঘটতে যাচ্ছে। বুধবার শাটডাউন তুলে নেয়ার দিন থেকেই চিরচেনা চাঞ্চল্য ফিরে পেতে শুরু করেছে ঢাকার নিম্ন আদালতগুলো।
বিভিন্ন মামলার ফাইলিং কার্যক্রম শুরু হয়েছে নিম্ন আদালগুলোতে। তবে পুরো কার্যক্রম শুরু হতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কয়েক দিন।
এন আই অ্যাক্টের বিচারাধীন মামলাগুলোর হাজিরা রাখলেও পদক্ষেপ নেয়া হবে কি না এ বিষয়ে কোনো অফিস আদেশ এখনও পাওয়া যায়নি। আর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিচারাধীন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ, সবধরনের হাজিরা, দেওয়ানি মামলার ফাইলিং ও বিচার কার্যক্রম বন্ধ আছে।
গত রোববার থেকে ভার্চুয়ালি সবধরনের জামিন শুনানি, আত্মসমর্পণপূর্বক জামিন আবেদন, ফৌজদারি মামলার ফাইলিং, সাকসেশন ও গার্ডিয়ানশিপ নির্ধারণী মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পুরো ছন্দ ফিরে পেতে দুয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
আইনজীবী ও আদালত সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, আগামী ১৬ আগস্ট থেকে সবধরনের মামলার কাজ শুরু হতে পারে। আর চলমান মামলাগুলো সচল হয়ে আদালত পুরোপুরি কর্মমুখর হতে সপ্তাহ দুই সময় লাগবে।
শাটডাউন তুলে নেয়ার দিন বুধবার সকালে দেখা যায়, চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিতি বেড়েছে আইনজীবী ও বিচার প্রার্থীদের।
তবে মহানগর দায়রা জজ এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের উপস্থিতি ছিল শাটডাউনকালের মতোই। ছুটির রেশ কাটেনি বিশেষ জজ আদালত, সবধরনের ট্রাইব্যুনাল ও দেওয়ানি আদালতগুলোতে।
চার মাসের বেশি সময়ের বিধিনিষেধ শেষে বিচারিক আদালত পুরোদমে সচল করতে নির্দেশনা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
এ বিষয়ে বুধবার সুপ্রিম কোর্টের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মোকদ্দমা/মামলায় বিচারক প্রযোজ্য ক্ষেত্রে শারীরিক উপস্থিতিতে অথবা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। তবে বিচারক প্রয়োজনীয় সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে শারীরিক উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় নিশ্চিতকরণ এবং সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা ও দায়রা জজ/মহানগর দায়রা জজ এবং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট/চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সংশ্লিষ্ট জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
সরকার গত ৫ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা লকডাউন ঘোষণা করলে পরে আদালতও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অবশ্য ভার্চুয়ালি সীমিত পরিসরে আদালতের কিছু কার্যক্রম চালু রাখা হয়।