বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লকডাউন শিথিলের প্রথম দিনে সড়কে সড়কে জট

  •    
  • ১১ আগস্ট, ২০২১ ১২:২৮

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পান্থপথ, কলাবাগান, মহাখালী, বনানী, মগবাজার এলাকায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছিল যানবাহনের জটলা। প্রতিটি সিগন্যালে দীর্ঘ সময় যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ শিথিলের পর বুধবার রাজধানীতে চলতে শুরু করেছে গণপরিবহন।

দীর্ঘদিন পর অফিস-দোকানপাট খোলায় মানুষজনের যাতায়াত ছিল সকাল থেকেই। সকাল থেকেই রাজধানীর সড়কের প্রায় প্রতিটি পয়েন্টে তীব্র যানজট দেখা গেছে। এতে সৃষ্টি হয় ভোগান্তি।

রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা বিজয় সরণি, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, বাংলামোটর, শাহবাগ, পান্থপথ, কলাবাগান, মহাখালী, বনানী ও মগবাজার এলাকায় প্রতিটি মোড়ে মোড়ে ছিল যানবাহনের জটলা। প্রতিটি সিগন্যালে দীর্ঘ সময় যানবাহনগুলোকে অপেক্ষা করতে হয়েছে।

অফিসগামী যাত্রীরা ধৈর্য হারিয়ে বাস থেকে নেমে হেঁটেই চলেছেন অফিসে।

বেলা ১১টায় মহাখালী বাস স্ট্যান্ডে বাস থেকে নামতে দেখা যায় আব্দুল্লাহ নোমানকে। তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। অফিস বাংলামোটর।

তিনি বলেন, ‘অফিস ১০টায়। ৮টায় বিশ্বরোড থেকে বাসে উঠেছি। অফিস টাইম পার হয়ে গেছে অনেক আগেই। চাকরি থাকে কি না এই ভয় ছিল এত দিন। আর আজ প্রথম দিনই এত লেট। যা আছে কপালে। হেঁটেই যাই।’

আব্দুল্লাহ নোমানের মতো এমন অনেকেই বাস থেকে নেমে হেঁটে রওনা হন গন্তব্যে।

রাজধানীর মহাখালীতে বুধবার সকাল থেকে যানজট লেগেই ছিল। ছবি: নিউজবাংলা

ফার্মগেটে শিকড় পরিবহন থেকে বাচ্চা কোলে নিয়ে নেমে হাঁটা ধরেন রোকসানা বেগম। যাবেন সায়েদাবাদ। তিনি একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি করেন। প্রায় এক ঘণ্টা জ্যামে বসে থেকে নেমে গেছেন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সিএনজি খুঁজতেছি। একটাও পাচ্ছি না। হাঁটা ছাড়া উপায় নাই।’

বাংলামোটরে দায়িত্বরত ট্রাফিক কর্মকর্তা ইখতার হোসাইন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাসের কারণেই মূলত জ্যাম। এলোপাতাড়ি যেখানে-সেখানে থামায়, আমরা চেষ্টা করতেছি জ্যাম ছুটানোর, কিন্তু রাস্তা তো সরু। দুই-তিন লাইনের জায়গায় এক লাইন।’

মূলত বাংলামোটরে মেট্রোরেলের কাজ চলতে থাকায় রাস্তা সরু হয়ে গেছে।

দীর্ঘক্ষণ জ্যামে বসে থাকার পর বেশ কয়েকজনকে ভাড়ায় মোটরসাইকেলে করে গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা যায়। তবে যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে তাদেরও।

মগবাজার মোড়ে যানজটে আটকে ছিল অর্ধশতের বেশি মোটরসাইকেল। সেখানে একজন মোটরসাইকেল আরোহী কাওসার বলেন, ‘৩০ টাকার বাস ভাড়ার দূরত্বে আড়াই শ টাকা দিয়া বাইকে উঠছি, ভাবলাম আগে আগে পৌঁছাব। সেই একই হইল। জ্যামে আর সিগন্যালেই আটকে বসে আছি।’

রাজধানীর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালগুলোতে ছিল মানুষের বাড়ি ফেরার তাড়া। ছবি: সাইফুল ইসলাম

দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা রমনা ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. রেফাতুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় বাস চলাচলের জন্যই মূলত সড়কে চাপ বেড়েছে। আমরা সকাল থেকেই প্রতিটি পয়েন্টে আরও বেশি এলার্ট আছি। যানজটে যেন সাধারণ মানুষকে ভুগতে না হয়, সেই চেষ্টাই করছি।’

বুধবার থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করে সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা রাখার নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। রোববার বিকেলে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

নতুন প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধরনের দোকানপাট ও শপিং মল খোলা থাকবে, সেই সঙ্গে খাবারের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ, অর্ধেক আসন খালি রেখে সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

বুধবার থেকে দেশব্যাপী চলাচল শুরু করেছে সব ধরনের গণপরিবহন। পরিবহনের আসন সংখ্যার সমান যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। সকল প্রকার শিল্প-কারখানা চালুও হয়েছে এদিন।

এ বিভাগের আরো খবর