শিশুসন্তানকে কাছে পেতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফের পুত্রবধূ মাধবী আক্তার নীলা।
মঙ্গলবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনের শুনানিও হয়েছে। পরে আদালত আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি করে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ফাওজিয়া করিম ফিরোজ। হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের পক্ষে শুনানি করেন সাঈদ আহমেদ রাজা।
পরে সাঈদ আহমেদ রাজা বলেন, ‘আদালত বিষয়টি পারিবারিকভাবে মীমাংসা করার জন্য উভয় পক্ষকে ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সময় দিয়েছেন। আশা করি এর আগেই সমাধান হবে।’
হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের দুই শিশুসন্তান। ছোট সন্তানটি আগে থেকে পুত্রবধূর হেফাজতে আছে। বড় শিশুসন্তানটি এখনও এ এফ হাসান আরিফের ছেলের কাছে আছে।
এ অবস্থায় মাধবী আক্তার নীলা বড় সন্তানকে নিজের হেফাজতে নেয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ৮ আগস্ট হাইকোর্টে রিট করেন।
এর আগে গত ১৬ জুলাই মিরপুরের আরামবাগে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে মাধবী জানান, তার দুই বছর বয়সী কন্যাসন্তানকে কানাডা পাঠিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন হাসান আরিফ।
সংবাদ সম্মেলনে মাধবী আক্তার নীলা বলেন, ‘হাসান আরিফের ছেলে মোয়াজ আরিফের সঙ্গে ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ পারিবারিকভাবে আমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী-সন্তান নিয়ে আমি সুখেই ছিলাম। বর্তমানে আমার বড় মেয়ের বয়স দুই বছর। সুখের সংসারে সমস্যা শুরু হয় আমার বড় সন্তানকে নিয়ে।
‘আমার শ্বশুর ও শাশুড়ি আমার বড় মেয়েকে কানাডায় তাদের মেয়ের কাছে পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিল। আমার ননদের কোনো সন্তান না থাকায় তারা আমার সন্তানকে কানাডা পাঠাতে চেয়েছিল, কিন্তু আমি রাজি হইনি। এরপর থেকেই আমার ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন শুরু হয়।’