দীর্ঘ শাটডাউন শেষে রাজধানীর সদরঘাট টার্মিনাল থেকে বুধবার সকাল ৬টায় দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে লঞ্চ চলাচল শুরু হবে। তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে আবার লকডাউন দেয়া হবে কি না সেটি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নোঙর করা লঞ্চগুলো তাদের ভেঁপু বাজিয়ে লাইট জ্বালিয়ে রেখেছে। গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্ততির হিসেবে করা হচ্ছে ইঞ্জিন পরীক্ষা।
রাত ৮টার দিকে কর্ণফুলী-১৩ লঞ্চের মিস্ত্রি মো. সাদ্দাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দিন ধরে লঞ্চের ইঞ্জিনের প্রতিটি ত্রুটি ও শব্দ সংকেত পরীক্ষা করছি। বুধবার সকাল ৬টা থেকে আমাদের লঞ্চ সদরঘাট টার্মিনাল ছেড়ে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশে যাওয়ার কথা।’
যাত্রী কম পাওয়ার শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কখন আবার সরকার ঘোষিত কঠোর শাটডাউনের কথা জানিয়ে দিবে, এসব জেনে যাত্রীরা যাতায়াত করতে চাইবে না। পত্রপত্রিকা যেভাবে লেখালেখি করছে, তাতে দেখা গেল, এ মাসেই আবার কঠোর শাটডাউন ঘোষণা হতে পারে। তাহলে তো আবার আমরা বেকার হয়ে যাব।’
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার কমান্ডার (পিসি) আব্দুর রৌফ বলেন, ‘মঙ্গলবার কোনো যাত্রী ঘাটে আসে নাই, তবে রাত ১০টার পর হয়তো দূরের কিছু কিছু যাত্রী আসা শুরু করবে। সেটিও সকাল ৬টার লঞ্চ ধরার জন্য।’
তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা অধিকাংশই ফজরের আজানের সময় আসবে। কেউ কেউ এখানে এসে ফজরের নামাজ আদায় করবে। তবে যাত্রীর সংখ্যা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম হতে পারে। বুধবার সকাল থেকেই শতাধিক লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছে।’