বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দোকানপাট-শপিংমল খোলার সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের স্বস্তি

  •    
  • ১০ আগস্ট, ২০২১ ১৯:৫২

রাজধানীর নিউমার্কেট ও মিরপুর বেনারশি পল্লী এলাকা ঘুরে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি পেয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে। মিরপুর বেনারশি পল্লীতে গিয়ে দেখা যায় দোকানে ধোয়ামোছার কাজ চলছে। কেউ কেউ আবার দোকান খুলে ভেতরে গোছগাছ করছে।

করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীদের মাঝে নিয়ে এসেছে ঈদের খুশি।

বুধবার থেকে শর্তসাপেক্ষে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট খোলা রাখা যাবে।

মঙ্গলবার রাজধানীর নিউমার্কেট ও মিরপুর বেনারশি পল্লী এলাকা ঘুরে ব্যবসায়ীদের দোকানপাট খোলার প্রস্তুতি নিতে দেখা গেছে। দোকানপাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি পেয়ে তাদের মুখে হাসি ফুটেছে।

মিরপুর বেনারশি পল্লীতে গিয়ে দেখা যায় দোকানে ধোয়া মোছার কাজ চলছে। কেউ কেউ আবার দোকান খুলে ভেতরে গোছগাছ করছে।

বেনারশি বিতানের কর্মচারী ফয়সাল মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, মালিক ফোন করলো দোকান কাল থিকা খোলা। কাজ ফেরত পাইছি তার লাগি খুশি। মালামাল গোছাইতে আইছি।

সাফ-সাফাইয়ের ফাঁকে ফাঁকে দুই-একজন ক্রেতারও দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা ছিল তাদের। যদিও সাড়া ছিল না ক্রেতাদের।

নিউমার্কেট এলাকার চাঁদনিচক, গাউসিয়াসহ অন্যান্য মার্কেটের চিত্রও ছিল একই রকম।

নিউমার্কেট ঘুরে দেখা যায় প্রায় সবগুলো প্রবেশ ফটক বন্ধ। পুরো মার্কেট ক্রেতা শূন্য। নিউমার্কেটের এক নম্বর গেটের পকেট গেটটি খোলা।

সেখানে মার্কেটের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মীরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। নানা জিজ্ঞাসাবাদের পরে নাম এন্ট্রি করিয়ে মার্কেটের ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন দোকান মালিক ও মার্কেট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

নিরাপত্তাকর্মীদের তত্ত্বাবধানে থাকা মনসুর আলি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কাল থেকে সব খোলা। দোকান মালিকরা গোছগাছের জন্য আইতেছে। সবাইরে ঢুকতে দেয়া হইতেছেনা। চাইলেও আজ বিক্রির সুযোগ নাই। আজ গোছাইয়া কাল বেচাকেনা শুরু।’

দোকান ধোয়ামোছার কাজে তদারকি করছেন আকবর হোসেন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, পরিবার নিয়া খুব বিপদেই ছিলাম বুঝলেন। গ্রামের বাড়ি থেকে দুই ছেলে আনছিলাম দোকানের কাজে। দোকান বন্ধ তাগোরেও টাকা পয়সা দিতারি নাই। নিজের পোলার মত। অসহায় লাগয় দুদিন ডাইকা ঘরে খাওয়াইছি। রোজগারের উপায় বন্ধ থাকলে চাইলেই তো আর বেশি কিছু করা যায়না।

আরেক ব্যবসায়ী নাজমুল হাসান বলেন, নতুন মাল তোলার জন্য জায়গা করতে আইছি। কি কি লাগব নোট নিতাছি।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রোধে জুলাই মাসের এক তারিখ থেকে দুই দফায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন দেয়া হয়।

কুরবানির ঈদ উদযাপনের জন্য ২৩ জুলাই পর্যন্ত এক সপ্তাহ লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল। এর পর আবারও ১৪ দিনের লকডাউন দেয়া হয় এবং তা আরও পাঁচ দিন বাড়িয়ে, ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর