নাতনি পরীমণিকে আদালতে অশ্রুসিক্ত চোখে দেখলেন তার শতবর্ষী নানা শামছুল হক গাজী। নানাকে দেখে পরীমনিও কান্নায় ভেঙে পড়েন। বারবার মুখ চেপে কান্না থামানোর চেষ্টা করতে দেখা যায় তাকে।
পরে নারী পুলিশ সদস্যদের সহায়তায় শামছুল হককে সরিয়ে নেয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টার কিছুক্ষণ পর একটি মাইক্রোবাসে করে পরীমনিকে ঢাকা মুখ্য মহানগর দায়রা আদালতে নিয়ে আসে সিআইডি। তাকে একনজর দেখতে সকালেই আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তার শতবর্ষী নানা শামছুল হক।
পরীমনির রিমান্ড শুনানির গোটা সময় ধরে এজলাসের এক কোনায় বসে কাঠগড়ায় দাঁড়ানো নাতির দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ছিলেন শামছুল হক।
পরীমনিকে পরে কাঠগড়া থেকে নামিয়ে নেয়ার সময় নানা হাত উঁচিয়ে অশ্রু চোখে নাতনির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আল্লায় যেন তোর বিপদ কাটাইয়া দেয়।’
সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মাদক মামলায় পরীমনিকে আরও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে। এ বিষয়ে বিচারকের আদেশের পরপরই কান্নায় ভেঙে পড়েন ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত অভিনেত্রী। আদালত কক্ষ থেকে বের হওয়ার সময় ক্ষোভও প্রকাশ করেন তিনি। পরীমনির দাবি, তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।