আওয়ামী লীগের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত মনির খান ওরফে দরজি মনিরকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
মনির ‘বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদ’ নামে একটি ভুঁইফোঁড় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।
রিমান্ড শেষে সোমবার আদালতে হাজির করা হয় দরজি মনিরকে। ঢাকার মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ তার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক (নি.) মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আইনজীবী আমানুল করিম লিটন আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন।
তিনি বলেন, মনির খান কোনো প্রকার অন্যায় করেননি, কারও সাথে প্রতারণা করেননি। একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আসামির স্থায়ী ঠিকানা আছে, যেকোনো শর্তে তার জামিন চাই।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিন আবেদনের বিরোধিতা করলে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি গ্রহণ করে। শুনানির সময় আসামি দরজি মনিরকে সিএমএম আদালতের গারদখানায় রাখা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে নতুন মামলা ও রিমান্ড আবেদন না থাকায় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সদস্য মো. শাহীন নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
দরজি মনিরের বিরুদ্ধে গত ৩ আগস্ট কামরাঙ্গীরচর থানায় ঈসমাইল হোসেন নামে এক ব্যক্তি মামলা দায়ের করেন।
তিনি এজাহারে বলেন, একটি ছোট দরজি দোকানে চাকরি করতেন মনির। হঠাৎ করে নিজেকে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে পরিচয় দিতে শুরু করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতার বন্ধু হন। এরপর একেক সময় একেক রাজনৈতিক পদবি, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের এমডি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন।
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ বিভিন্ন মন্ত্রী-এমপিদের সঙ্গে নিজের ছবি এডিট করে বসিয়ে নিজেকে বাংলাদেশ জননেত্রী শেখ হাসিনা পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দাবি করেন মনির।
তিনি ও তার সহযোগীরা ঢাকা মহানগরী এবং বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি দেয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেন। গত ৩০ জুলাই মনির তার সংগঠনের পদ প্রদান ও বড় বড় নেতার সঙ্গে সুসম্পর্ক করিয়ে দেয়ার নাম করে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।