বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাটডাউনের শেষ ঘণ্টা বাজলেই লঞ্চ ছাড়ার প্রস্তুতি

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২১ ১৬:৩৬

লঞ্চ মানিকের কোয়ার্টার মাস্টার শাহ আলম বলেন, ‘প্রথমে ৫৫ দিনের লকডাউন, এরপর আবার শাটডাউন ঘোষণা করা এবং ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে আজ আমাদের নিঃস্ব করে দেয়া হয়েছে। এখন পেটে ভাত নাই, বাজার করতে পারি না। অনেকের ঘরের বউ ছেড়ে চলে গেছে। আর যেন লকডাউন বা শাটডাউনের বিধিনিষেধ না আসে।’

শেষ হতে যাচ্ছে দীর্ঘ শাটডাউন। বুধবার সকাল থেকে স্বাভাবিক রূপে ফিরবে জনজীবন। এ জন্য লঞ্চ চালুর সব প্রস্তুতি নিচ্ছেন সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সরকার ঘোষিত শাটডাউন তুলে নেয়ার শেষ ঘণ্টাটি কখন বাজবে সেই অপেক্ষায় আছেন তারা।

মঙ্গলবার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় সারি সারি নোঙর করা আছে বিভিন্ন কোম্পানির লঞ্চ। এগুলো ধোয়ামোছার কাজ চলছে।

সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছে এমভি রয়েল ক্রজ, সুন্দরবন, কর্ণফুলী, অ্যাডভেঞ্চার, এমভি ঈগল, এমভি ইয়াদ, গ্লোবি অফ নেভিগেশন, মেসার্স সোহান শিপিং লাইন্স কোম্পানির লঞ্চ মানিক ও পারাবত লঞ্চ।

লঞ্চসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘ বিধিনিষেধ, লকডাউন, শাটডাউনে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন তারা। কখন শাটডাউন উঠবে এ নিয়ে তর সইছে না তাদের।

লঞ্চ মানিকের কোয়ার্টার মাস্টার শাহ আলম বলেন, ‘প্রথমে ৫৫ দিনের লকডাউন, এরপর আবার শাটডাউন ঘোষণা করা এবং ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে আজ আমাদের নিঃস্ব করে দেয়া হয়েছে। এখন পেটে ভাত নাই, বাজার করতে পারি না। অনেকের ঘরের বউ ছেড়ে চলে গেছে। আর যেন লকডাউন বা শাটডাউনের বিধিনিষেধ না আসে।’

এমভি রয়েল ক্রুজের পরিদর্শক মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামীকাল সরকার ঘোষিত শাটডাউনের শেষ দিন। রাত ১২টার পর নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও আমরা বৃহস্পতিবার বিকেল ছাড়া কোনো যাত্রী পাব না।

‘একমাত্র ঈদের সময় ছাড়া সাধারণত দিনের বেলায় কোনো যাত্রী পাওয়া যায় না। এবার ঢাকা থেকে ফেরার যাত্রী খুব একটা হবে না বলে আমরা আশঙ্কা করছি।’

সুন্দরবন লঞ্চের ক্যাশিয়ার মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘ছেড়ে যাওয়ার সময় তেল খরচার পয়সা উঠবে কি না আমরা এ নিয়ে খুব চিন্তিত আছি। ঈদের আগে যেসব মানুষ ঢাকা ছেড়ে গেছে, তারা অনেকেই ফেরে নাই।’

লঞ্চ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা নিয়ে মেসার্স সোহান শিপিং লাইন্সের লঞ্চ ‘মানিক’-এর কোয়ার্টার মাস্টার মো. শাহ আলম নিউজবাংলাকে অনেকটা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, প্রতিদিন লঞ্চের পরিচর্যা করতে হয়। সে ক্ষেত্রে লঞ্চ ধোয়ামোছার কাজ অব্যাহত থাকে। লঞ্চে যাত্রী তোলার আগে আবার পানি মেরে ধোয়ামোছা করা হয়।

বিআইডব্লিউটিএর প্রবেশ গেটের টিকিট বিক্রেতা হুমায়ুন কবির জানান, লঞ্চগুলো টার্মিনালে নোঙর করার পর যেসব লঞ্চ এখানে আর জায়গা পায় না, তারা শ্যামবাজার-ফরাশগঞ্জের ঘাটে গিয়ে নোঙর করে। তবে সে ক্ষেত্রে লঞ্চপ্রতি ১২০ টাকা করে ঘাটের ভাড়া দিতে হয়।

কারণ হিসেবে তিনি জানান, ওই ঘাট সরকারিভাবে ডাকা হয়। যারা সরকারের ডাক পায় তারাই ঘাট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।

এ বিভাগের আরো খবর