রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কথিত মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে ফের চার দিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
শুক্রবার বিকেলে শুনানি শেষে ঢাকা মুখ্যমহানগর হাকিম সত্যব্রত শিকদার এ আদেশ দেন।
এরআগে তিন দিনের রিমান্ড শেষে ঢাকার মুখ্যমহানগর হাকিম আদালতে মৌকে হাজির করা হয়। আসামি মৌকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক প্রবীণ কুমার ঘোষ।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন মোহাম্মদপুর থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই মো. শরিফুল ইসলাম।
এর আগে ২ আগস্ট মৌকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত।
গত ১ আগস্ট মোহাম্মদপুরের বাবর রোডে মৌয়ের বাসায় অভিযান চালিয়ে মদ, ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্যসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিত্তবানদের ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে রাজধানী থেকে গত রোববার গ্রেপ্তার হয়েছেন ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌ নামের দুই নারী। দুজনকেই মডেল বলা হচ্ছে। এদের মধ্যে পিয়াসা একসময় মডেলিং করতেন।
কিন্তু মৌ আক্তারের মডেলিংয়ের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের ফ্যাশন জগতে যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেন, তারাও জানেন না মৌ আক্তারের কাজের ব্যাপারে।
পুলিশ জানায়, পিয়াসা ও মৌ মূলত একই সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। মডেলিংয়ের নামে তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর পার্টি করার নাম করে তাদের বাসায় ডেকে নিতেন। সেখানে মদ-ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক খাইয়ে ‘আপত্তিকর’ ছবি তুলতেন। পরে সেগুলো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা বা নানা সুবিধা আদায় করতেন।
মৌ আক্তার নামেই মডেল
দেশের ফ্যাশন জগতের জনপ্রিয় নাম বুলবুল টুম্পা। তিনি নিজে একসময় মডেল ছিলেন। এখন কোরিওগ্রাফার ও ট্রেইনার হিসেবে কাজ করছেন।
নিউজবাংলাকে তিনি জানান, মডেল হিসেবে মৌ আক্তারকে চেনেন না তিনি।
বুলবুল টুম্পা বলেন, ‘তিনি (মৌ আক্তার) আমার কাছে মডেল হিসেবে পরিচিত নন। তাকে আমি কখনও র্যাম্প মডেলিং বা প্রমোশনাল মডেলিংয়ের কাজে দেখিনি।’
ফ্যাশন জগৎ, দেশের সিনেমায় কাজ করেন রামিম রাজ। মূলত তিনি একজন ফ্যাশন ডিজাইনার, ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর। তিনি নিউজবাংলাকে মৌ আক্তারকে না চেনার কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘ফ্যাশন জগতে কাজ করছি অনেক বছর ধরে। ৫ বছর হলো নিজের প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছি। কখনোই তাকে (মৌ আক্তার) মডেলিং করতে দেখিনি।’
দেশের ফ্যাশন জগতে আলোচিত এবং জনপ্রিয় নাম আজরা মাহমুদ। বাংলাদেশের জনপ্রিয় একজন র্যাম্প মডেল ও কোরিওগ্রাফার তিনি। এই সময়ে এসে একজন সফল উপস্থাপিকা হিসেবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি তার (মৌ আক্তার) সঙ্গে কখনও কাজ করিনি। আর আমার সঙ্গে তার কখনও কোথাও দেখাও হয়নি।’