পৃথক মামলায় মডেল ও অভিনেত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দুই সহযোগী শরফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান ও মাসুদুল হাসান ওরফে জিসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদের আদালত বৃহস্পতিবার শুনানি শেষে পৃথক তিন মামলায় মিশুর ৯ দিন এবং দুই মামলায় জিসানের ৪ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
মিশুকে অস্ত্র আইনের মামলায় পাঁচ দিন, পর্ণোগ্রাফি আইনের মামলায় এক দিন এবং মাদক মামলায় ৩ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। জিসানকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় ৩ দিন ও পর্ণগ্রাফি আইনের মামলায় ১দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয় আদালত।
এরআগে সকালে দুই মামলায় তাদের পৃথকভাবে ১০ দিন করে মোট ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আদালতে শুনানির সময় আরো দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
ভাটারা থানা পুলিশ দুই আসামির মধ্যে মিশুর জন্য অস্ত্র, পর্ণোগ্রাফি এবং মাদক আইনের মামলায় ১০ দিন করে ৩০ দিন, জিসানের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও পর্ণোগ্রাফি আইনের মামলায় ১০ দিন করে ২০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে।
আসামি পক্ষে আইনজীবী গোলাম কিবরিয়া যোবায়ের রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। আসামিরা ষড়যন্ত্রের শিকার বলে তিনি দাবি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে জামিনের বিরোধিতা করেন মহনগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ডের আদেশ দেন।
ভাটারা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এসআই রনপ কুমার ভক্ত নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে বুধবার দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। দুজনই পিয়াসার সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে হয় ১টি অস্ত্র, ৬ রাউন্ড গোলাবারুদ, ১৩ হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা, ১টি ফেরারি গাড়ি, সিসার সরঞ্জামাদি, ২টি ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, বিভিন্ন ব্যাংকের চেকবই ও এটিএম কার্ড, পাসপোর্ট এবং ভারতীয় ৪৯ হাজার ৫০০ জালমুদ্রা উদ্ধার করা হয়।
এর আগে রোববার রাজধানীতে আলাদা অভিযান চালিয়ে মডেল পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বাহিনীটি বলছে, দুই মডেল সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। তারা উচ্চবিত্তদের ব্ল্যাকমেইল করতেন।