বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘মামলা আমাদের করার কথা, আমরাও টাকা দিয়েছি’

  •    
  • ৪ আগস্ট, ২০২১ ১৮:২০

‘টাকাপয়সা যা লেনদেন করার হেলেনা জাহাঙ্গীর করেছে। আমরা কেনো এসবের দায় নিতে যাব। আমরা যখন দেখেছি জয়যাত্রা টিভির কোনো বৈধ কাগজপত্র নাই, তখন আমরা অব্যাহতি নিয়ে চলে এসেছি। মামলা তো আমাদের করার কথা, আমরাও হেলেনাকে টাকা দিয়েছি।’

‘আমরাও ভিকটিম, আমরাও চাকরি করতাম জয়যাত্রা টিভিতে, টাকা পয়সা যা নেয়ার হেলেনা জাহাঙ্গীর নিয়েছেন। তার জন্য তিনি তিন দিনের রিমান্ড ফেরত এসে আবারও রিমান্ডে গেছেন। আমরা তো শুধু ম্যানেজার আর রিপোর্টার হিসেবে দায়িত্বে ছিলাম, তাও অনেক আগে চাকরি ছেড়ে অব্যহতি নিয়ে চলে এসেছি।’

‘টাকাপয়সা যা লেনদেন করার হেলেনা জাহাঙ্গীর করেছে। আমরা কেনো এসবের দায় নিতে যাব। আমরা যখন দেখেছি জয়যাত্রা টিভির কোনো বৈধ কাগজপত্র নাই, তখন আমরা অব্যাহতি নিয়ে চলে এসেছি। মামলা তো আমাদের করার কথা, আমরাও হেলেনাকে টাকা দিয়েছি।’

এভাবেই শুনানি করেন জয়যাত্রা ফাউন্ডেশনের ডিজিএম এবং জয়যাত্রা টিভির জিএম (অ্যাডমিন) হাজেরা খাতুন অনির আইনজীবী মো. ফিরোজুর রহমান মন্টু এবং জয়যাত্রা টিভির প্রতিনিধি সমন্বয়ক সানাউল্লাহ নুরীর পক্ষের আইনজীবী আমানুল করিম লিটন।

শুনানির একপর্যায়ে তারা আদালতকে বলেন, ‘যদি কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করার থাকে তাহলে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিন। দয়া করে রিমান্ড দিবেন না। এই মামলার আসল আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীর তিন দিনের রিমান্ড ফেরত এসে গতকাল আবারও রিমান্ডে গেছেন।’

শুনানিতে আরও বলা হয়, ‘আমরা নিজেরা যেখানে ভিকটিম, আমাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কী থাকতে পারে?’

বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালতে হাজেরা খাতুন অনি ও সানাউল্লাহ নূরীকে হাজির করা হয়।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার পুলিশের উপপরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আল হেলাল দুই আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ এ দুই আসামি ও অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে সরকারের অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও জয়যাত্রা টিভি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল দাবি করে দেশের বিভিন্ন জেলার প্রতিনিধি নিয়োগ করে মোটা অংকের টাকা জামানত হিসেবে গ্রহণ করে প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করে। তারা প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছিল।

সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনসহ এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ও অজ্ঞাতনামা আসামিদের প্রকৃত নাম-ঠিকানা সংগ্রহসহ গ্রেপ্তার, আসামিদের কাছ থেকে জয়যাত্রা টিভির সকল নিয়োগপত্র, প্রতিনিধিদের কাছ থেকে আত্মসাৎ ও আদায় করা চাঁদার টাকা উদ্ধারের জন্য তাদের রিমান্ড নেয়র জরুরি বলে মন্তব্য করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

হাজেরা খাতুনের পক্ষে অ্যাডভোকেট ফিরোজুর রহমান মন্টু এবং সানাউল্লাহ নূরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আমানুল করিম লিটন রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করে।

রাষ্ট্রপক্ষে তাপস কুমার পাল এর বিরোধিতা করেন।

দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এ মামলায় মঙ্গলবার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে চার দিনের রিমান্ডে পাঠায় আদালত। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায়ও তার তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। এ ছাড়া গুলশান থানায় করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড আবার তিন দিন এবং মাদক মামলায়ও তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।

র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র‌্যাব-১ এর অভিযানে ২৯ জুলাই দিবাগত রাতে রাজধানীর গুলশান-২ এলাকার ৩৬ নং রোডের ৫নং বাড়ি ‘জেনেটিক রিচমন্ড’-এ অভিযান পরিচালনা করে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ১ টি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, ১টি হরিণের চামড়া, ২টি মোবাইলফোন, ১৯টি চেক বই ও বিদেশি মুদ্রা, ২টি ওয়াকিটকি সেট এবং জুয়া (ক্যাসিনো) খেলার সরঞ্জামাদি- ৪৫৬টি চিপস জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে তার জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশনেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে রাতেই র‌্যাব-৪ বিটিআরসির সহযোগিতায় মিরপুরে অবস্থিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের অনুমোদনহীন জয়যাত্রা টেলিভিশন স্টেশন সিলগালা করে এবং অবৈধ মালামাল জব্দ করে।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামের একটি সংগঠনের পোস্টার ভাইরাল হলে আলোচনায় উঠে আসেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়। এরপরই আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য পদ হারান হেলেনা জাহাঙ্গীর।

এ বিভাগের আরো খবর