নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুডের সেজান জুসের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুড়ে মারা যাওয়া ২৪ মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষার পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ২১ মরদেহ শনিবার তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৪৮ জনের মধ্যে যে তিনজনের ডিএনএ শনাক্ত করা যায়নি সেগুলো আবার পরীক্ষা করা হবে। তারপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে বুধবার দুপুরে ইমাম হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মামলার অনেক অগ্রগতি আছে। আগুন কীভাবে লেগেছে তার কাছাকাছি পৌঁছে গেছি আমরা। খুব শিগগির চার্জশিট দেব। বিদ্যুতের তার থেকে আগুন লেগেছে। নারায়ণগঞ্জের এডিসি এস এম মাহফুজুর রহমান ইতিমধ্যে নিহতদের পরিবারকে দাফন ও সৎকার বাবদ ২৫ হাজার টাকা করে দেয়ার কথা জানিয়েছেন। পরে আরও দেয়া হবে।’
সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি ইমাম হোসেন বলেন, ‘আজ নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সেজান জুস কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে রাখা ২৪ শ্রমিকের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হলো। বাকি লাশ শনিবার হস্তান্তর করা হবে।’
গত ৮ জুলাই রূপগঞ্জের হাসেম ফুড কারখানায় আগুনে পুড়ে ৫২ জনের মৃত্যু হয়। তিন ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় তখনই স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
বাকি লাশগুলো শনাক্ত করার উপায় ছিল না। পরে লাশগুলো ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের মর্গে রাখা হয়। এরপর স্বজনদের কাছ থেকে ডিএনএ নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। নমুনায় যাদের মিল পাওয়া গেছে সেসব মরদেহ হস্তান্তর করা হচ্ছে।
যে ২৪ পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে তারা আলাদা আলাদা অ্যাম্বুলেন্সে করে মরদেহ নিয়ে যাচ্ছে।