ঈদ-পরবর্তী শাটডাউনের ১২তম দিন মঙ্গলবার রাজধানীর সড়কগুলোতে বেড়েছে মানুষের চলাচল। বিভিন্ন প্রয়োজনে গন্তব্যে যেতে এসব মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে দীর্ঘক্ষণ।
ব্যতিক্রম প্রাইভেট কারের সুবিধাভোগীরা। কোনো অপেক্ষা ছাড়াই তারা যেতে পারছেন কর্মস্থল বা অন্য কোনো জায়গায়।
সকাল থেকে সড়কে অফিসগামী ও প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হওয়া মানুষের চাপ অন্য দিনগুলোর তুলনায় বেশি দেখা গেছে। গণপরিবহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
তাদেরই একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মী লুৎফর রহমান। তার অফিস উত্তরায়। অপেক্ষা করছিলেন ফার্মগেটে।
লুৎফরের অফিস এতদিন বন্ধ ছিল। জরুরি ঘোষণায় মঙ্গলবার থেকে অফিস করতে হচ্ছে তাকে। তবে অফিস কোনো যানবাহনের ব্যবস্থা করেনি।
তিনি বলেন, ‘আজকে যদি আমার প্রাইভেট কার থাকত তাহলে আমার জন্য লকডাউন থাকত না। প্রাইভেট কারওয়ালাদের জন্য কোনো লকডাউন নাই। দুই ঘণ্টা ধরে অপেক্ষা করছি; কোনো ট্রান্সপোর্ট নাই। রাস্তায় শুধু প্রাইভেট কার আর প্রাইভেট কার।’
সিগন্যালে অপেক্ষা
রাজধানীর সড়কগুলোতে প্রাইভেট কারসহ অন্য যানবাহনের চাপে বিভিন্ন সিগন্যালে অপেক্ষা করতে হচ্ছে গাড়িগুলোকে। প্রতিবেদনটি লেখার আগে কারওয়ান বাজার ও বিজয় সরণি সিগন্যাল পার হতে প্রতিবেদককে ৫ ও ৮ মিনিট অপেক্ষা করতে হয়।
হাঁটাই ভরসা
গাড়ি না পেয়ে প্রতিদিনের মতো আজও অনেককে হেঁটে গন্তব্যে যেতে হয়েছে। তাদের একজন মামুন রেজা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মামুন জানান, মিরপুরে একটা জরুরি কাজে যাচ্ছেন তিনি। কিন্তু রিকশা ভাড়া এত বেশি চায় যে, উপায় না পেয়ে হেঁটেই যাচ্ছেন।
শাটডাউনের ১২তম দিনে সড়কে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেককে। ছবি: সামদানী হক নাজুম/নিউজবাংলা
চেকপোস্ট দৃশ্যত অকার্যকর
পুলিশের চেকপোস্টগুলোতে মঙ্গলবার চোখে পড়ার মতো তৎপরতা দেখা যায়নি। ব্যক্তিগত গাড়িগুলোকে খুব একটা থামাতে দেখা যায়নি। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশাগুলো সহজে পার হতে পারছে না চেকপোস্টগুলো।