বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতারণার মামলায় রিমান্ডে ঈশিতা

  •    
  • ২ আগস্ট, ২০২১ ১৬:০৯

এমবিবিএস পাস করার পর ২০১৪ সালের শুরুর দিকে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন ঈশিতা। ওই বছরই একটি সরকারি সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। চার মাস চাকরির পর শৃঙ্খলাজনিত কারণে চাকরিচ্যুত হন। এরপর বেছে নেন প্রতারণার রাস্তা।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, চিকিৎসাবিজ্ঞানীসহ নানা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার চিকিৎসক ইশরাত রফিক ঈশিতা ও তার সহযোগী শহিদুল ইসলাম দিদারকে র‌্যাবের দুই মামলায় ছয় দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।

আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও মাদক মামলার শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আশেক ইমাম এ আদেশ দেন।

রিমান্ড বাতিল চেয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, ‘আমরা জামিন চাই না। দয়া করে রিমান্ড বাতিল করুন। আমাদের নিকট থেকে যা উদ্ধার ছিল তা করা হয়েছে। আর কিছু করার নাই। তাই বিজ্ঞ আদালতের কাছে আমরা রিমান্ড বাতিল চাচ্ছি।’

এর বিরোধিতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল।

ঈশিতা ও দিদারকে রোববার রাজধানীর মিরপুর থেকে আটক করে র‌্যাব-৪-এর একটি দল। তাদের বিরুদ্ধে সোমবার সকালে বাহিনীটির পক্ষ থেকে প্রতারণা ও মাদক আইনে দুটি মামলা করা হয়।

মামলা দুটিতে প্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে আদালতে তোলা হয় ঈশিতা-দিদারকে।

ঈশিতা-দিদারকে আটকের সময় ঈশিতার বাসা থেকে ভুয়া কিছু আইডি কার্ড, ভিজিটিং কার্ড, সিল, ভুয়া সার্টিফিকেট, প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট, ল্যাপটপ, ৩০০টি ইয়াবা ও ৫ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ঈশিতা ফিলিপাইনের একটি ওয়েবসাইট থেকে ৪০০ ডলারে সামরিক বাহিনীর ‘ব্রিগেডিয়ার জেনারেল’ ভুয়া র‌্যাঙ্ক কেনেন। সে অনুযায়ী র‌্যাঙ্ক, ব্যাচ ও পোশাক বানিয়েছিলেন। তার দেখানো পথে ভুয়া মেজর জেনারেল র‌্যাঙ্ক কিনে ব্যবহার করতেন সহযোগী দিদারও।

র‌্যাবের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ঈশিতা পেশায় একজন চিকিৎসক। তিনি ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০১৩ সালে (সেশন ২০০৫-২০০৬) এমবিবিএস পাস করেন। এরপর ২০১৪ সালের শুরুর দিকে মিরপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে যোগ দেন। ওই বছরই একটি সরকারি সংস্থায় চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পান। চার মাস চাকরির পর শৃঙ্খলাজনিত কারণে চাকরিচ্যুত হন। এরপর নানা প্রতারণার রাস্তা বেছে নেন ঈশিতা।

এ বিভাগের আরো খবর