ঈদ পরবর্তী শাটডাউনের ১১তম দিন সোমবার রপ্তানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা খুলে দেয়ার প্রভাব দেখা গেছে রাজধানীর সড়কে।
সকাল থেকে সড়কে অফিসগামী অনেক মানুষ দেখা গেছে। কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাদের।
গণপরিবহন চলাচলে পুলিশ বাধা দেয়ায় রিকশাই একমাত্র ভরসা যাত্রীদের। কিন্তু তাতেও বিপত্তি। যানবাহনটির ভাড়া এত বেশি যে, একে প্রাইভেটকারে চড়ার টাকার সঙ্গে তুলনা করেছেন এক যাত্রী।
ডাক্তার দেখাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার জন্য গাবতলীর সড়কে দাঁড়িয়ে ছিলেন নজরুল কবির।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার কিডনির সমস্যা, ডাক্তার দেখাতে যাব। বের হয়ে দেখি কিছুই নাই।
‘রিকশা ভাড়া চায় ৩০০ টাকা। এত টাকা দিলে তো প্রাইভেটকারে করেই যেতে পারি।’
যারা রিকশাচালকদের চাহিদা মেনে নিতে পারছেন, তারা যানবাহনটি নিয়েই গন্তব্যে ছুটছেন। আর যাদের সেই সামর্থ্য নেই, তারা হয় অপেক্ষা করছেন নতুবা হেঁটেই রওনা হয়েছেন গন্তব্যে।
বাহনের জন্য ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পোশাক কারখানার কর্মীদের। তাদের একজন রফিকুল ইসলাম জানান, সকাল ৭টায় বাসা থেকে বের হয়ে সাভারের একটি গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য গাবতলীতে অপেক্ষা করছেন। কিন্তু কোনো বাহন পাচ্ছেন না।
তিনি বলেন, ‘আগের দিন তো দেখলাম বাস চলে। আজকে ১ ঘণ্টা দাঁড়ায়া কোনো বাস পাইলাম না। সরকার হয় সব খুইল্লা দিক না হয় সব বন্ধ কইরা দিক। এ কেমন খেলা?’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেয়া শাটডাউনের মধ্যেই রোববার থেকে চালু হয়েছে রপ্তানিমুখী শিল্প ও কলকারখানা। এর আগের দিন শনিবার এসব কারখানার শ্রমিকরা হেঁটে বা ছোট গাড়িতে করে রাজধানীসহ বিভিন্ন গন্তব্যে গেছেন। এ যাত্রায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে তাদের।
এসব নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার মধ্যে শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় সরকারের তথ্য অধিদপ্তর জানায়, গণপরিবহন চালু থাকবে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত। পরে পুলিশ ও পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানায়, শ্রমিকবাহী পরিবহনগুলোকে রোববার দুপুরের পরও ঢাকায় ঢুকতে দেয়া হবে।
এমন বাস্তবতায় শ্রমিকদের অনেকে ধারণা করেছিলেন, সোমবারও সড়কে থাকবে বাস। তবে কর্মস্থলের জন্য বেরিয়ে উল্টো চিত্র দেখেছেন তারা।