রাজধানীর গুলশান থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় আলোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পাঁচ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেছে পুলিশ।
ঢাকার মুখ্যমহানগর হাকিম আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (অপারেশন) শেখ শাহানুর রহমান এ আবেদন করেন।
বর্তমানে তিনি গুলশান থানায় পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে আছেন। সেখানে হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে তার জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
রোববার গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেন।
৩১ জুলাই শনিবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদনটি আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় জমা দেন।
যেহেতু আসামি হেলেনা জাহাঙ্গীর গুলশান থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। সেকারণে রিমান্ড ফেরত তাকে আদালতে হাজির করা হলে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ পরবর্তী রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি হবে।
এর আগে ৩০ জুলাই শুক্রবার হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাতে গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করেন র্যাব সদস্যরা।
অভিযান শেষে র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ কুমার বসু বলেন, ‘নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় আমরা অভিযান চালিয়েছি। তার বাসা থেকে আমরা বিদেশি মদ, অবৈধ ওয়াকিটকি সেট, ক্যাসিনো সরঞ্জাম, বিদেশি মুদ্রা, চাকু ও হরিণের চামড়া জব্দ করেছি।’
শুক্রবার সন্ধ্যায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করে তার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয় ।
এদিন রাত সাড়ে ৮টার সময় তার রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইনসহ চারটি ধারায় আরেকটি মামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হেলেনা জাহাঙ্গীর আর সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনিরের নাম উল্লেখ করা হয়।
এই সংগঠনের দেশে-বিদেশে শাখা খুলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেয়ার কথাও বলা হয়।
ফলে খোদ আওয়ামী লীগের মধ্যেই বিতর্কের ঝড় ওঠে।