গুলশানে সড়ক বিভাজকে গাড়ি নিয়ে উল্টো যাওয়ার ঘটনাটি ভোলা-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের ছেলে ঘটিয়েছেন জানিয়ে, ঘটনার দায় কার তা খুঁজে বের করার চেষ্টাও করেনি পুলিশ।
এমপি পুত্রের গাড়ি চালানোর লাইসেন্স আছে কি না, শাটডাউনের মধ্যে কোন প্রয়োজনে তারা ঘরের বাইরে বের হয়েছিলেন, সেটি যাচাই বাছাই না করেই চালকের হাতে গাড়ি তুলে দেয়া হয়েছে।
এটুকু জানা যাচ্ছে, গাড়িটি সে সময় চালাচ্ছিলেন জুল জালালী আল ইসলাম জেনিক। তখন তার মা নীলিমা নিগার সুলতানা ছিলেন।
শনিবার বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর গুলশান যাওয়ার পথে বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউতে গাড়িটি সড়ক বিভাজকে ধাক্কা দিয়ে উল্টে যায়।
ঘটনাস্থলের পাশের একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মী দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘খুব জোরে গাড়িটা আসছিল। যেখানে উল্টে যায় এর আগে ডান-বাম করতে করতে আসছিল। কী হইছিল তা বুঝতে পারি নাই। দেখলাম এসে ডিভাইডারের উপরে উল্টে গেছে।’
গাড়ির ভেতর থেকে দুজনকে বের হতে দেখেছেন এই নিরাপত্তাকর্মী। তিনি জানান, সালোয়ার কামিজ পরা একজন নারী ছিলেন, তিনি কিছুটা আহত হয়েছেন।
এরপর ওই গাড়িটি পুলিশের র্যাকারে করে উদ্ধার করা হয় ও গাড়িটির দায়িত্বে থাকা চালকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
একদিন পেরিয়ে গেলেও জ্যাকবের ছেলের লাইসেন্স ছিল কি না বা কেন বের হয়েছিলেন তা নিয়ে এক ধরনের অনীহা দেখা গেছে বনানী থানা পুলিশের মধ্যে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ঘটনার পর গিয়ে গাড়িতে কাউকে পাইনি। তবে গাড়িটি চালাচ্ছিলেন এমপি সাহেবের ছেলে। আর ছিলেন তার মা।’
গাড়ি চালানোর জন্য এমপি পুত্রের ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল কি না এমন প্রশ্নে ওসি বলেন, ‘আমরা জানতে পারিনি।’
কেন গাড়িটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিল তাও জানেন না পুলিশের এই কর্মকর্তা।
শাটডাউন ভেঙে কেন তারা বের হয়েছিলেন, লাইসেন্স আছে কি না-তা কেন যাচাই করা হয়নি এমন প্রশ্নে কিছুই বলতে পারেননি বনানী থানার ওসি। বলেন, ‘এতে ট্রাফিক পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে কি না জানি না।’
গুলশান ট্রাফিক জোনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এটা নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, তারাও জ্যাকবপুত্রের বিষয়ে কোনো খোঁজ খবরই করেননি।