করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার সারা দেশে ২৩ জুলাই থেকে ১৪ দিনের শাটডাউন ঘোষণা করে। এ সময় সবধরনের কলকারখানা বন্ধ রাখার কথা জানানো হলেও হঠাৎ করে শুক্রবার ঘোষণা আসে রোববার থেকে চালু হচ্ছে রপ্তানিমুখী কারখানা।
এমন ঘোষণার পর শুক্রবার রাত থেকে ঢাকামুখী মানুষের ঢল শুরু হয়। শনিবার সারাদিন দূর-ধূরান্তের জেলা থেকে মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে আসতে থাকে। এমন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যার পর সরকার এক দিনের জন্য লঞ্চ ও বাস চলাচলের অনুমতি দেয়।
সেই অনুমতির পর সদরঘাটে বেড়ে যায় কর্মচাঞ্চল্য। ৯ দিন পর ভেঁপু বেজেছে সদরঘাটে। তবে খুব বেশি যাত্রীর আনাগোনা ছিল না লঞ্চ টার্মিনাল এলাকায়।
সদরঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার সকাল ৭টা থেকে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চাদপুরগামী একটি লঞ্চ টার্মিনাল ছেড়ে গেছে।
বিআইডব্লিউটিএর বেশ কয়েকজন কর্মচারী ও ঘাটে প্রবেশ টিকিট বিক্রেতা আব্দুস সাত্তারের সঙ্গে কথা বলে নিউজবাংলা। তারা জানান, যাত্রী না থাকায় রাতে কোনো লঞ্চ সদরঘাট ছেড়ে যেতে পারেনি। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে শুধু চাঁদপুরগামী একটি লঞ্চ গন্তব্যের উদ্দেশে টার্মিনাল ছেড়ে গেছে।
ভোলাগামী লঞ্চ কর্ণফুলী-২ এর পরিদর্শক রিপন মিয়া বলেন, ‘লঞ্চের যাত্রী ধারণক্ষমতা ৭০০ জন, কিন্তু যাত্রী হয়েছে দেড়শ। সকাল ১০টায় লঞ্চ ছেড়ে যাবে। পরে হয়তো আর জনা পঞ্চাশেক যাত্রী পাব।’
তার প্রশ্ন, ‘এতো কম যাত্রী নিয়ে ঘাট ছাড়লে আমাদেরকে মালিক বেতন দেবেন কোথা থেকে?’
লঞ্চের যাত্রীর জন্য হাকডাক থাকলেও যাত্রীদের আনাগোনা খুবই কম।
গতরাতে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা দেয়ার পর লঞ্চগুলোকে ধোঁয়া-মোছার কাজ করে ঘাটে এনে নোঙর করা হয়েছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের আশপাশের এলাকায় খুব একটা গাড়ি বা রিকশা দেখা যায়নি। রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা।