গাজীপুর টঙ্গীতে ওষুধ কোম্পানির এক বিক্রয় প্রতিনিধিকে আটকে রেখে উলঙ্গ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে র্যাব।
এরা হলেন সাদ্দাম হোসেন ওরফে নুর ইসলাম, আঁখি আক্তার, চামেলী আক্তার, শেখ ফরিদ ও মো. বশির ওরফে রাহুল।
শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় টঙ্গীর টিএন্ডটি বাজারের গোপালপুরের ‘সুমন ভিলা’ নামে একটি দোতলা বাড়ির নিচতলার ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
শনিবার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন র্যাব-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার।
তিনি জানান, ঘটনার ভিকটিম একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তিনি টিএন্ডটি বাজার এলাকায় রাহুলের সঙ্গে দেখা করেন। রাহুল ওষুধ কেনার কথা বলে ভিকটিমকে ওই এলাকার আকরাম হাজীর দোতলা বাড়ির নিচতলার দক্ষিণ পাশের ফ্ল্যাটের একটি রুমে নিয়ে যান।
সহকারী পুলিশ সুপার মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, ‘পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আঁখি আক্তার নামে এক নারী তার সহযোগীদের নিয়ে রুমে ঢোকেন। আঁখি ভিকটিম সেখানে উপস্থিত চামেলী আক্তারের সঙ্গে অসামাজিক কাজ করতে এসেছেন বলে জোরপূর্বক উলঙ্গ করে মোবাইল দিয়ে ছবি তোলেন।’
আটকরা ভিকটিমকে আটকে রেখে তাকে মেরে ফেলার ভয় দেখায়। এসময় তারা ভিকটিমের কাছে থাকা ১১ হাজার টাকা ও সাউথ ইস্ট ব্যাংকের একটি ক্রেডিট কার্ড ছিনিয়ে নেয়। একই সঙ্গে তারা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ভিকটিম কৌশলে তার সহকর্মী মোজাম্মেল হককে ঘটনাটি জানান।
র্যাব কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান তুষার বলেন, ‘ঘটনাটি মোজাম্মেল হক র্যাব-১ কে জানালে র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় র্যাব-১ এর আভিযানিক দল সাদ্দাম হোসেন, আঁখি আক্তার, চামেলী আক্তার, শেখ ফরিদ ও মো. বশিরকে আটক করে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করেন তারা।’
আটকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।