করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত শাটডাউনের নবম দিন শনিবার রাজধানীর প্রবেশপথগুলোর চিত্রটা ছিল অন্য দিনের তুলনায় ভিন্ন। সকাল থেকে শত শত মানুষ হেঁটে ঢাকায় প্রবেশ করছেন।
তাদের অধিকাংশের ভাষ্য, অফিস খুলবে রোববার। চাকরি বাঁচানোর তাগিদে ফিরতে হচ্ছে ঢাকায়।
ঢাকার প্রবেশপথগুলো দিয়ে হেঁটে ফেরা মানুষের পাশাপাশি ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও বেড়েছে। ঢাকা থেকে বের হওয়া গাড়ির তুলনায় ঢাকায় প্রবেশের গাড়ির সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি।
গাবতলী ও আবদুল্লাহপুর চেকপোস্টে থাকা ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
মিরপুর দারুস সালাম জোনের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকেই আউটগোয়িংয়ের (ঢাকার বাইরে যাওয়া) তুলনায় ইনকামিং (ঢাকায় প্রবেশ) বেশি। হেঁটে প্রচুর মানুষ ঢাকায় ফিরছেন।’
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘হেঁটে ফেরা মানুষদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলছেন, গার্মেন্টসহ অন্য কল-কারখানা খুলতে যাচ্ছে। চাকরিতে যোগ দিতেই তারা শত দুর্ভোগ পেরিয়ে ঢাকা ফিরছেন।’
চেকপোস্টের হালচাল
ঢাকার প্রবেশপথ ছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট রয়েছে পুলিশের। বিধিনিষেধের মধ্যেও যাদের চলাচলের অনুমতি আছে, তাদের যেতে দেয়া হচ্ছে। এর বাইরে যাদের পাওয়া যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। তবে বের হওয়ার যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারলে চেকপোস্টে ছাড় দেয়া হচ্ছে।
যারা যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারছে না, তাদের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনের ধারায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান রামপুরা জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক মশিউর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যকটি গাড়ি চেক করে ছাড়ছি। শাটডাউনে চলাচলের অনুমতি আছে এমন মানুষ ও তাদের গাড়ির সংখ্যাই বেশি।’
গাবতলীর পাশাপাশি মহানগরীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট পরিচালনা করছে পুলিশ।
এ ছাড়া র্যাব, সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল রয়েছে। বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে পুলিশ ও র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। তৎপর রয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনও।