সৌদি আরবে প্রায় ৯ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের জন্য বহন করার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দুই দিনের হেফাজতে পেয়েছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
বৃহস্পতিবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এরপর বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
আসামি পক্ষে একজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে জামিনের বিরোধিতা ও রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করা হয়।
বিমানবন্দর থানা আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা এএসআই বেলাল উদ্দিন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শুনানি শেষে ঢাকার মুখ্যমহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম আবু সাঈদ তার দুই দিনের রিমান্ড আদেশ দেন।
এর আগে বুধবার তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ।
এদিকে বুধবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এক সংবাদ সম্মেলনে এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক বলেন, সৌদি আরবের দাম্মামে যেতে সাদ্দাম ভোর ৬টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন।
প্রথমে ঢাকা থেকে ওমানের মাসকাট এবং কানেন্টিং ফ্লাইটে সৌদি আরবের দাম্মাম যাওয়ার কথা ছিল তার।
আসামি সাদ্দামের বাড়ি কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকায়।
এসব ইয়াবা তিনি কুমিল্লার এক ব্যক্তির কাছ থেকে নিয়েছেন বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন।
ওই ব্যক্তিদের একটি চক্র সাদ্দামকে সৌদি আরবে যাওয়ার টিকিট ও ভিসা করে দিয়েছেন বলেও তিনি পুলিশকে জানান।
জিয়াউল হক বলেন, আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পারি, এই ইয়াবাগুলো ২০০ থেকে ৩০০ টাকা করে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
এগুলো সৌদি আরবে নিতে পারলে সেখানে প্রতি পিস এক থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করতেন।
সেখানে প্রতি পিস ইয়াবাতে তার ৮০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা পর্যন্ত লাভ হতো।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জিয়াউল হক সাংবাদিকদের বলেন, আসামি সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদে আমরা ইয়াবা পাচার চক্রের সদস্যদের বেশকিছু নাম পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে এই চক্রের বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান জিয়াউল হক।
ইয়াবা পাচার সাদ্দামের এটাই প্রথম নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছি।
২০২০ সালে আসামি সাদ্দাম ইয়াবা পাচারের সময় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। সেই মামলায় তিনি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। এরই মধ্যে ইয়াবার বড় এই চালানটা তিনি সৌদি আরবে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়েন।